এসকে সিরাজ, শ্যামনগর: সাতক্ষীরা শ্যামনগরে বে-সরকারি সংস্থা এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর শ্যামনগর উপজেলা শাখার ম্যানেজার মোসলে উদ্দিন লস্কর এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দেবালয় এলাকার, আর এ সি এর সভানেত্রী আরিফা খাতুন বলেন, শ্যামনগরের ম্যানেজার তাকে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সহ অন্যান্য সংস্থার সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ইতিপূর্বে অন্য একজন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে তাকে এখান থেকে অপসারণ করান, বিষয়টি পরে আমি বুঝতে পেরেছিলাম। মুন্সীগঞ্জ এলাকার তাপস কুমার বলেন, আমি শ্যামনগর অ্যাকশন এইড সংস্থার ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম, কিন্তু তার কথামতো না চলার কারণে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, উক্ত ম্যানেজার মোসলে উদ্দিন লস্কর আমাকে চাকুরিতে বহাল করার লক্ষ্যে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। এদিকে উপজেলার আটুলিয়া এলাকার জান্নাতুল খাতুন বলেন, আমি উক্ত সংস্থার শ্যামনগরের ব্রাঞ্চে কাজ করি, কিন্তু ম্যানেজারের বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তা না শোনার কারণে উক্ত ম্যানেজার মোসলে উদ্দিন লস্কর আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে, সে আমার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আর এসি সভানেত্রীদের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে চাকুরীচ্যূৎ করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া উক্ত ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও হিন্দু-মুসলিম কর্মচারীদের মধ্যে ডিভাইডেড করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্থানীয় কর্মীদের নানাভাবে নাজেহাল ও হয়রানি করে থাকেন, তিনি সব সময় তার এলাকার থেকে কর্মীদের এনে এই এলাকায় কাজ করানোর চেষ্টা করে থাকেন। সাধারণ কর্মীরা ও শ্যামনগরের সচেতন মহল উক্ত ম্যানেজারের অপসারণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ দিকে শ্যামনগরের অ্যাকশন এইড এর ম্যানেজার মোসলেম উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপরোক্ত বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো আদৌও সঠিক নয়, আমি সব সময় অফিসিয়াল নিয়মনীতি মেনে কাজ করে যাচ্ছি।