
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম কর্তৃক সাংবাদিক আক্তার হোসেন লাঞ্চিত। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম সরকার কর্তৃক সুন্দরবন সংলগ্ন গোলাখালী নিষিদ্ধ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করলে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার রমজাননগর ইউনিয়ন প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: আক্তার হোসেন অবৈধ বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহ করে সংবাদটি প্রকাশ করেন। পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিক আক্তার হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে কৈখালীর জয়াখালী মোড়ে পৌঁছলে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম সাংবাদিক আক্তার হোসেনের পথ অবরুদ্ধ করেন এবং তাকে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগাল সহ ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে সাংবাদিক আক্তার হোসেন বিষয়টি তার সহকর্মী সাংবাদিকদের জানান। এই নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহল ফুঁসে উঠা সহ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন, সংবাদমাধ্যমসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’। একদিকে, এমন আইন ও নানারকম ভয়ভীতি-হুমকির কারণে সাংবাদিকতার পরিসর সংকুচিত হয়ে উঠছে। আরেকদিকে, শারীরিকভাবে হামলা ও হেনস্থর শিকার হতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। এসব হামলা-নির্যাতন সাংবাদিকতা পেশাকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে এবং তথ্যপ্রকাশে বাধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকেও খর্ব করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাকের ডগায়। সাংবাদিকরা যে শুধু সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রকাশ্যে এমন হামলার শিকার হচ্ছেন তা নয়; দেশের বিভিন্ন স্থানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর বহু ঘটনা ঘটেছে। আরও উদ্বেগজনক হলো সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না।
তবে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনা অস্বীকার করেন।