আব্রাহাম লিংকন শ্যামনগর থেকে: সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেত্রী শাহানারা খাতুন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের নাকের ডোগায় দিনের পর দিন পশ্চিম কৈখালী গ্রামের নুর ইসলাম মোড়লের ছেলে হযরত মোড়ল ও জয়নাল সরদারের মেয়ে শাহানারা খাতুন মিলে বিভিন্ন মানুষের ষড়যন্ত্রমূলক একাধিক মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী ও সাক্ষী হয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এই মিথ্যা কুকর্মের মূল বৃক্ষ হিসেবে ছায়া দিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ গুটি কয়েক আলীগ নেতা। শাহানারা খাতুন কৈখালী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী হিসাবে দ্বায়িক্ত পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর চাঁদাবাজির কবলে যাদের ব্যবহার করতে ব্যার্থ তাদের প্রতি উৎসাহী হয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলার নষ্ট চরিত্রের দেহ ব্যবসায়ী মহিলাদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে এই শাহানারা ও হযরত মোড়ল। নাম না জানানোর স্থানীয় এক সংবাদকর্মী জানান, শাহানারা একাধিক মিথ্যা মামলার নিজেই বাদী। এছাড়া হযরত মোড়ল তার সহযোগী হিসাবে কাজ করেন দীর্ঘদিন যাবত। শাহানার এক সময়ে সাতক্ষীরার শহরের পলাশপুল এলাকার পার্সপোর্ট অফিসের উত্তর পাশে দুই নম্বর গলির ভিতরে জনৈক পাভেল রহমানের বিল্ডিং এর নিচ তলায় ভাড়া থেকে গোপনে দেহব্যবসা চালাত । তৎকালীন সময়ে সাতক্ষীরা সদর থনার এসআই হাফিজুর রহমানের হাতে আটক হয় শাহানারা । এরপরে পতিতাবৃত্তের দায়ে পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। যাহার মামলার জি-আর নম্বর ৫৯৩/২০ ।
তিনি আরো জানান,শাহানারা আওয়ামীলীগের আমল থেকেই বহু সম্মানী ব্যক্তি ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানারকম পরিকল্পনা করে নারীপাচার হত্যা মামলা সহ ধর্ষণের মত জগন্য মামলা দিয়ে মোটা অংকের টাকা লুটে নেন।এমনকি শাহানারা তার আপন মামা নজরুল তরফদার কেও মিথ্যা পাচার মামলা দিয়ে মোটা অংকের অর্থ লুটে নেন।সর্বশেষ যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মিতু নামে এক মহিলাকে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আদলতে মামলা দায়ের করেন এলাকার কয়েকজনের নামে । যাহার মামলা নম্বর ৬৪৪/২৪ আর এই মামলায় ও হযরত থাকেন ২ নং সাক্ষী হযরত মোড়ল । তবে মজার বিষয় হলো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে শাহানারা ও হযরতের মাঝে ভাগাভাগি নিয়ে হয় বাকবিতন্ডা। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে শাহানারা বাদী হয়ে হযরতের নামে ধর্ষণ মামলাও করেন। দীর্ঘদিন পরে একপর্যায়ে আপোষ করে আবার ও তারা একসাথে মিলে আবার ও রমরমা মিথ্যা মামলা নিয়ে ব্যবসা করতে নেমে পড়েন।শাহানার বর্তমানে জেলার বাইরে থেকে ভাড়ায় কল গার্ল এনে উঠতি বয়সী যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে । এঘটনায় এলাকাবাসী তার গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে ।
পাটকেলঘাটা এলাকার বাবু নামে এক যুবক জানান, ২০২০ সালে তার সাথে সাতক্ষীরা শহরে পরিচয় হয় শাহানারা খাতুনের । এরপরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে গভীর সম্পর্ক । এর কিছুদিন যেতে না যেতেই সুন্দরবন ভ্রমনের নামে তাকে কৈখালী নিয়ে যান শাহানারা । সেখানে তাকে আটকে রেখে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় ১২ লাখ টাকার কাবিন করে ভূয়া বিয়ে করেন তিনি । বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই বেড়িয়ে আসে তার আসল রুপ । সে মোটাংকের টাকা দাবী করতে থাকে। দাবী মত টাকা না দিলে মিথ্য নারী নির্য়াতনের মামলার ভয় দেখায় শাহানারা। এরপর স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মধ্যস্থতায় দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে সে যাত্রা রেহাই পান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আ‘লীগ নেত্রী শাহানারা খাতুন জানান, আমি কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি না , আমার নামে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে সে গুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা পারলে নিউজ করে দেন তাতে আমার কিছু যায় আসেনা ।
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, শাহানারা ও হযরতের কুকর্ম নিয়ে কেউ মুখ খুললেই সে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে যায়। যার কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না । এর চেয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবনা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা( ওসি) হুমায়ন কবির মোল্য জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।