আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া জমি দখলের পায়তারা, রাঁতের আধাঁরে চুরি করে গাছ কেটে সাবাড়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে যে, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিন কদমতলার সাধুপাড়ার মৃত কৃষ্ণপদ মন্ডলের পুত্র মৃত গনেশ চন্দ্র মন্ডল মৃত্যুর আগে ২.৬৬ শতক জমি রেখে যান। গনেশ চন্দ্র মন্ডলের ৩ মেয়ে। বড় মেয়ে প্রিয়দাসী, মেঝ মেয়ে বাসন্তী রানী যোদ্দার এবং ছোট মেয়ে কাজল। প্রিয়দাসী নি:সন্তান এবং বিধবা, বাসন্তী রানীর ২ পুত্র সন্তান ও ১ মেয়ে, এবং কাজলের ৩ মেয়ে রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বাবার মৃত্যুর পর কোন পুত্র সন্তান না থাকলে শুধু মাত্র মেয়েদের পুত্ররা সম্পত্তির উত্তরাধীকারী হয়ে থাকে। কিন্তু ছোট মেয়ে কাজলের স্বামী সুদাম মন্ডল গেড়ে বসেছে শশুরের সম্পত্তিতে। একেবারে ঘর জামাই সেজে দখল করে বসে আছে। সুদাম মন্ডল গনেশ চন্দ্র মন্ডলের নামে নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে টিপসহি নকল করে একটি ভুয়া কাগজ তৈরী করে এবং এই নিয়ে জমির উইল সাজিয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দ্বায়ের করে হরহামিশেই ভোগদখল করে আসচ্ছে গনেশ চন্দ্র মন্ডলের সম্পত্তি। কাগজপত্র ও ধর্মীয় অনুসারে ২.৬৬ শতক জমি শুধু মাত্র মেঝ মেয়ে বাসন্তী রানীর দুই পুত্র বিষ্ণুপদ যোদ্দার এবং কৃষ্ণপদ যোদ্দার উত্তারাধীকারী। কিন্তু তারা ভিটা ও জমি দখলে গেলে হেনস্থ করছে সুদাম মন্ডল। বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিচ্ছে এবং বসত ভিটার গাছ কেটে আতœসাৎ করছে সুদাম মন্ডল। গত ২৮ সেপ্টম্বর ২০২০ তারিখে বিষ্ণুপদ ও কৃষ্ণপদ দুই ভাই তাদের ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া বসত ভিটায় কিছু ফলফলারির গাছ রোপন করে । কিন্তু সুদাম মন্ডল রাঁতের আধাঁরে গাছগুলো উপড়ে ফেলে দেয়। ঘর তৈরির জন্য রাখা ইট পুকুরে ফেলে দিচ্ছে। এমন ধরনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বিষ্ণুপদ ও কৃষ্ণপদ।
বিষ্ণুপদ বলেন, দাদুর সম্পত্তির একমাত্র ওয়ারেশদার আমরা দ্ইু ভাই। আমার মেশোমসাই আমাদের চরম হয়রানী করছে। এবং গ্রামের কেউ আমাদের সাথে বললে জানতে পেরে তাদেরও ছাড় দিচ্ছে না সুদাম মেশোমসাই।
কৃষ্ণপদ বলেন, মেশোমসাই সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দ্বায়ের করেছে। তাতে আমাদের দু:খ নেই কিন্তু বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা করছে। কারন আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে কোন পক্ষ ঐ জায়গার কোন ধরন পরিবর্তন বা ঘর নির্মান এবং গাছ কর্তন করতে পারে না। আমার দাদুর লাগানো পুরানো দিনের বড় বড় গাছ কেটে আতœসাৎ করেছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদয়ের নিয়ম অনুসারে মৃত গনেশ চন্দ্রের সম্পত্তির ওয়ারেশ সূত্রে বিষ্ণুপদ ও কৃষ্ণপদ যোদ্দার পাবে। কিন্তু তাদের বাড়ী কালিঞ্চী হওয়ার ফলে ঠিক মত দেখাশুনা করতে পারে না। ভিটার গাছ কাটা, পুকুরের মাছ ধরা, ঘর তৈরীর ইট পুকুরে ফেলা সহ নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ্য। সুদাম একজন ঠান্ডা মাথার বুদ্ধিমান ব্যক্তি। মোটেও লোক সুবিধার না।
তবে বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে সুদাম মন্ডল বলেন, হ্যা আমি গাছ কেটেছি কিন্তু গাছগুলো আমি লাগিয়ে ছিলাম। চারাগুলো উপড়ে ফেলার কারন আমার ক্ষেতের মধ্যে লাগিয়ে ছিলো। তবে বিষ্ণুপদ ও কৃষ্ণপদ ওরা যা করার তাই করে নেবে আমাকে।
শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া জমি দখলের পাইতারা
পূর্ববর্তী পোস্ট