
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরের ভেটখালী বাজারে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটিও দখলের পায়তারা চালাচ্ছে ভ‚মিদস্যুরা। উপজেলার অন্যতম বাজার এই ভেটখালী বাজার । এখানে ৪ টি ইউনিয়নের মানুষ এই বাজার থেকে কেনা কাটা করে থাকে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার কেনা বেচা হয় প্রতিদিন। রমজাননগর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে ঐতিহ্যবাহী তালেব আলী গাজীর বাজারকে বর্তমান “ভেটখালী” বাজার বলা হয়। কিন্তু বাজারটি যেন দেখার কেউ নেই। বাজারটিতে প্রতিদিন যে ময়লার স্তুপ জড়ো হয় সেগুলো ফেলার জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ হলেও প্রভাবশালী ভ‚মিদস্যুরা দখল করে পাঁকা ঘর নির্মান করে। অন্যদিকে বাজারের চারিদিকে দোকানঘর হওয়ায় জলবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাশনের জন্য বাজার কর্তৃপক্ষ ৫ ফুট প্রস্থ্য একটি পথ রাখেন। গত কয়েক বছর আগে ঐপথের দুপাশ পাঁকা দেওয়াল থাকার সুবাদে সোরা গ্রামের শন্ত মিস্ত্রির পুত্র শাহ আলম রাতারাতি দখল দেখানোর জন্য দু’পাশে কাঠের বেড়া দেয়। এর ফলে প্রতি বৃষ্টির মৌসুমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হলে প্রায় সময় দোকানদারদের সাথে গোলযোগ হয়ে থাকে। গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শাহ আলম স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় রাতারাতি পাঁকাঘর নির্মান কাজ শুরু করে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজার গিফারীর নির্দেশে কৈখালী ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা সুধীন কুমার কাজ বন্ধ করে দেন। শাহ আলম ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ধরে ম্যানেজ করার কথা বলছে স্থানীয় প্রতিনিধিকে।
দোকানদারেরা বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের তরকারি সব ভেসে যায়। বাজার কমিটির সভাপতি ৬ নং রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল-মামুন বলেন, আমি বিষয়টি মাত্র শুনলাম। ঐ জায়গাটি তো বাজারে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি ওটা বন্ধ করলে তো বৃষ্টির সময় সব তলিয়ে যাবে।
কৈখালী ইউনিয়ন তহশিলদার স‚ধীন কুমার বলেন, আমি লোক পাঠি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজার গিফারীর বলেন, আমি তহশিলদারকে বলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
এদিকে শাহ আলম রাতারাতি পাঁকাঘর নির্মান করার পায়তারা শুরু করেছে। এ বিষয় শাহ আলম বলেন, আমি ভুমি অফিস থেকে বৈধ কাগজ পত্র করেছি।