# উপজেলা বিএনপির সভাপতি অহেদ মাস্টারের অনুসারী এসব দূস্কৃতিকারী।
# রমজাননগর, কাশিমারি ও আটুলিয়া ইউনিয়ন এর মানুষ চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি।
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বিএনপি নেতা শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে চলছে গনচাঁদাবাজি, দখলবাজি সহ নানা অপকর্ম। বিশেষ করে রমজাননগর, কাশিমারি ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি, সম্পাদকরা মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদের অনুসারী হওয়ায় একের পর এক অপরাধ সংঘটিত হলেও কেউ মুখ খোলে না বলে জানা গেছে। ওই নেতার ছত্রছায়ায় শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালিতে ওয়াব্দার জমি দখলে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভেটখালি বাজার সংলগ্ন প্রায় ৫ বিঘা জমি দখল করে দলীয় ক্যাডার দিয়ে ধান রোপন করেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুজ্জামান। এলাকাবাসী জানায়, দখল করা জমিটি ২৫/৩০ বছর পুর্বে পানি উন্নয়ন বোডের কর্মকর্তাগনের আবাসিক বাসস্থান ছিলো। দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত অবস্থা পড়ে থাকায় ৫ আগস্টের পর জায়গাটি দখল করা হয়েছে। দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে নিজের কব্জায় নেন ওই নেতা। এই ঘটনার পর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির এই নেতা পুরো ইউনিয়নটিকে কব্জায়ে আনতে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে, তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এলাকার নিরীহ সাধারণ মানুষ, সংখ্যালঘু পরিবার সচেতন মহল ও ব্যবসায়ী মহলের বিভিন্ন দোকানপাট দখল করে নিয়েছে বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ। তার বাহিনীর হাত থেকে ছাড় যায়নি সংবাদকর্মীরাও। এরআগে বর্তমানে আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুনের সাথে সক্ষতা রেখে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি ও নিয়মের কার্যক্রম। নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদের পরিবার পুর্ব থেকেই দখলবাজ ভূমিদস্যু। ইতিপূর্বে ভেটখালি বাজারের অনেক জায়গা জোর পুর্বক দখল করে দোকানঘর বানিয়েছেন তারা। আওয়ামীলীগ অফিস দখল করে বানিয়েছে বিএনপি অফিস। নিজের আপন ভাইকেও পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে সরকারি সম্পত্তি দখল করলেও কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার সাহস পায়নি। তিনি এলাকায় গড়েছেন ত্রাসের রাজত্ব এর জন্য বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। বিএনপির একাধিক প্রবীন কর্মী বলেন, সে কাওকে তোয়াক্কা করেনা, হাইকমান্ডের নির্দেশ ও মানে না। তার এরুপ ন্যক্কারজনক কর্মকান্ডের জন্য মানুষ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। যার প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়তে অবশ্যই পাড়বে।
একই উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নেও একে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে, আটুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কালাম মোড়লের কর্মকান্ড কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। নওয়াবেকী রশীদ মালির সহধর্মিণী আনোয়ারা বেগমের জমিদখল, রথীকান্তের সীমানার ঘেরা ভেঙে দেয়া এবং অপর পক্ষের থেকে সুবিধা নিয়ে বেড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা আবুল কালাম মোড়লের বিরুদ্ধে। ওই বাজারে আকবার হোসেনের ফর্নিচারের দোকানে জোর পূর্বক তালা দিয়ে এবং চাঁদা নিয়ে তালা খুলে দেন উক্ত নেতা। নওয়াবেকীর হুমায়ুন কবিরের ভাইপো বাপ্পির নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে বিএনপি নেতা আবুল কালাম। শ্যামনগরের উপকূলীয় রমজাননগর, কাশিমাড়ী ও আটুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। সাধারণ মানুষ উক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়। তারা বিএনপি’র ঊর্ধ্বতন নেত্রী পক্ষের জরুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাম্প্রতিব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নির্দেশ দিয়েছেন নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে দখল, চাঁদাবাজি সহ দলীয় কর্মকান্ডে প্রভাব ফেলে এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু এসব এলাকায় কোন কিছুই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সর্বস্থরে। কতিপায় কিছু বিএনপি নেতার কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলার মানুষ। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমার জানা নেই, তবে বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে খোঁজ নিবো, আমি ইতিমধ্যে সভা করে সবাইকে বলে দিয়েছি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য। তার কাছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোন অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিতে তিনি কিন্তু দিধা করবেন না। এ বিষয়ে কোন নেতার অপকর্মের দায়ভার আমরা নেবো না।