
শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীর ভূমি কর্মকর্তা সুধীন কুমারের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে। রমজাননগর ও কৈখালীর মাদার নদীর চর ভূমিদস্যুদের দখলে দিয়ে নিরব ভূমিকায় কৈখালী ভূমি কর্মকর্তা। সরোজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে যে, পরানপুর ও রমজাননগর থেকে কালিঞ্চী ও কৈখালী নদীর দুপারে গড়ে উঠা নদীর চর বিভিন্ন কায়দায় দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। মিনি সুন্দরবনের গাছ কেটে তৈরি করছে পুকুর, মাছের ঘের বা বসবাসের ভিটা। তবে কেউ যেন দেখার নেই। স্থানীয় ভূমিদস্যুরা নতুন নতুন জায়গা দখল করে বিক্রি করে থাকে এবং পরে আবার নতুন জয়গা দখল করে থাকে।
কৈখালীর ভূমি কর্মকর্তা সুধীন কুমারের বিষয় গুলো অবগত হওয়ার পরও কোন প্রকার পদক্ষেপ নেন না এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তার এই নিরব ভূমিকায় দখল হয়ে যাচ্ছে মাদার নদীর চর। এদিকে সুধীন কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নামজারি, হোল্ডিং, খাজনা পরিশোধ, প্রতিবেদন সহ নানাবিধ কার্যক্রমে গোপনে উৎকোচ গ্রহন করে থাকেন।
নাম ও ঠিকানা দেন আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি এ রকম কথা প্রায় সময়ে শোনা যায় সুধীন কুমারের কাছ থেকে। কিন্তু অবস্থা যা তাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি বলেন, আমাদের জমি আছে বলে কাছারী আসতে হয়। যদি অর্থ লেনদেনের বিষয় বলি তাহলে কলমের মার দিয়ে আমাদের দিনের পর দিন হয়রানী করবে। এই জন্য যা কিছু হয় আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে।
তবে সুধীন কুমার বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা। যারা দখল করছে তাদের নাম ও ঠিকানা দিন আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিষয়টি গোপনে তদন্ত করে দেখলে সকালের আলোর ন্যায় পরিস্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।