
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে:
শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তাকে মারপিট করায়, বাধাদানকারী বেশ কয়েকজন নারী পুরুষকে পুলিশ নির্দয়ভাবে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা এ নিয়ে জয়াখালীতে বিক্ষোভ করেছেন।
তবে পুলিশ মারপিটের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বুধবার (৯ ফেব্রæয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী এলাকা থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার ও অন্যদের বেধড়ক মারপিটের ঘটনায় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। তারা এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, শ্যামনগর থানার এসআই নুর কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কৈখালী ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত নির্দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে মারপিট করতে থাকে। এ সময় গ্রামবাসী বাঁধা দিলে এসআই নুর কামাল ও এএসআই মেহেদি সহ পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
এতে করে কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়নের বৈশখালি গ্রামের আঞ্জুয়ারা, কুলসুম বেগম, আশরাফ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুস সাত্তার, জরিনা খাতুন সহ বেশ কয়েকজন। পুলিশ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও ওই রাস্তায় অবস্থানকারী নারীদের বেধড়ক মারপিট করে জোর প‚র্বক টেনে হিচড়ে ও বেপরোয়া মারপিট করে চেয়ারম্যানকে আটক করে।
তবে স্থানীয়রা বলেন, শেখ আব্দুর রহিম যদি মামলার আসামী হয় ? তবে তাকে গ্রেফতার করুক পুলিশ কিন্তু তাকে যে ভাবে মেরেছে তাতে করে মনে হয় প‚র্ব শত্রæতার জেরে এমন কর্মকান্ড করেছেন। গ্রেফতারকালে চেয়ারম্যান বার বার বলেছেন আমি আপনাদের সাথে যাবো কিন্ত তারপরও গলার উপর পা তুলে দিয়ে জিপ বের করা সহ তাকে বেদম মারপিট করেছেন। এমনকি যারা ঠেকাতে গিয়েছেন তাদেরকেও ছাড় দেয়নি।
এ বিষয়ে এসআই নুর কামাল বলেন চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করতে কনস্টেবল রিপন দায়ের কোপে একটি আঙ্গুলে ৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, আব্দুর রহিমকে মারপিট করা হয়নি।
শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলার সাজা এবং ৪টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। এসব অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি জনসাধারনের ওপরও পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি।