আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরের কৈখালীতে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা মাদক জব্দ করে হজমের বিষয় সংবাদ প্রকাশে ভক্ষণকারীদের দৌড়ঝাঁপ ও উপরী মহলের তদবীর। এলাকা ঘুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে, ভক্ষণকারীরা এলাকায় প্রতিনিয়ত এমন ধরনের কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত এলাকা মধ্যে শ্যামনগর কৈখালী এলাকায় একটি সংগঠিত কিছু মাদক পাচারকারীরা প্রতিনিয়ত মাদক পাচার করে থাকে। কৈখালী বিজিবি, কৈখালী কোষ্টগার্ড, ফরেস্ট স্টেশন, শ্যামনগর থানা সহ স্থানীয় প্রশাসন থাকতেও এই সংগঠিত দল প্রতিনিয়ত ভারত থেকে অবৈধ পথে মাদক পাচার করে আসছে। তবে এই সব মাদক সহ পাচারকারীদের আটক করে থাকে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে হাজতে পাঠালে আসামিরা কয়েকদিন পরে ফিরে এসে আবারও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। আর এই সংগঠিত চক্রটি হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে (বø্যাকমেইল) করে থাকে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত্র ৯ টার দিকে কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী মোড়ে সাহেবখালী ফজের আলীর পুত্র দেলোয়ারের চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিল বৈশখালী গ্রামের কেরামত গাজীর পুত্র জামু ও সাকাত মোল্ল্যার পুত্র আলমগীর এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল দ্রæত বেগে আসার শব্দ শুনে জামু পথিমধ্যে বাঁধা দেয়। জামুর বাঁধাকে উপেক্ষা করে মাদক বহনকারী মোটরসাইকেলটির চালক না দাঁড়ি জামুকে ধাক্কা দিয় চলে যায়। ঐ সময়ে জামু, দেলোয়ার, আলমগীর সহ সহযোগীরা তাদের নিজস্ব মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে। ধাওয়ার এক পর্যায়ে মাদক বহনকারী মোটরসাইকেলটি ভেটখালী বাজারের উপর দিয়ে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দরবন বাজারের পর সাত্তার মোড়লের মাছের প্রজেক্টে পৌছালে জামু, দেলোয়ার, আলমগীর মাদক বহনকারী মোটরসাইকেল সহ গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে। ফেরার পথে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ঘাটে বসে থাকা মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছেলে রাসেল সহ স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের আটক করে। জামু, দেলোয়ার, আলমগীর কৈখালী ও রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সহ বিভিন্ন নেতাদের দোহাই দিয়ে ছাড়িয়ে আসে। রাসেল বিষয়টি সন্দেহ করে ভেটখালীর একজন সাংবাদিককে অবগত করেন। উক্ত সাংবাদিক ভেটখালী রাঁয়নগর নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে অবগত করার পর রাঁয়নগর নৌ-পুলিশের সদস্যরা রাস্তায় গাড়ীটি গতিরোধ করার চেষ্টা করলে মাদক বহনকারী মোটরসাইকেলটির চালক ও জামুর সহযোগীরা নৌ-পুলিশের সদস্যদের উপেক্ষা করে পালিয়ে যায় এবং পিছনে আসা ২টি মোটরসাইকেল রাঁয়নগর নৌ-পুলিশের সদস্যরা গতিরোধ করতে সক্ষম হয়। পরে জামু, দেলোয়ার, আলমগীর অন্য কাজে গিয়েছিলো এমন জামু, দেলোয়ার, আলমগীর দোহাই দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে জামু, দেলোয়ার, আলমগীর সহ সহযোগীরা ভাগ বাটোয়ারা করে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওহেদ মুরর্শীদকে অবগত করলে তিনি থানা পুলিশ এসআই প্রদীপ ও ১ জন এএসআইকে পাঠান। এসআই প্রদীপ ও ১ জন এএসআই এসে বিষয়টি তদন্ত প‚র্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
জামু বলেন, আমি বিষয়টি জানি না, আমি গিয়েছিলাম কিন্তু মোটরসাইকেলের চেন খুলে যাওয়ায় আমি যেতে পারিনি।
মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুত্র রাসেল বলেন, জামু, দেলোয়ার, আলমগীর কৈখালী ও রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সহ বিভিন্ন নেতাদের দোহাই দিলে আমি তাদের ছেড়ে দিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওহেদ মুরর্শীদ বলেন, মাদক হাতে না পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। এই নিয়ে এলাকায় ব্যপক চঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মুখে মুখে একটাই কথা কৈখালীতে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা মাদক জব্দ করে কি হজম করে ফেললো?