
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরের কৈখালীতে কোন ভাবেই থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন। ২ বছর আগে নলতার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক কৈখালী এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শৈলখালী সন্ন্যাসির বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ রাস্তা টেন্ডার গ্রহণ করেন। কোভিড-১৯ ও বর্ষার মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় ঐ এলাকার মানুষ পড়ে চরম দূর্ভোগে । করোনা নিয়ন্ত্রণ ও বর্ষার পর কাজ শুরু করেছে কিন্তু রাস্তার বেডে বালু দিতে সরকারি বাজেটে প্রতি ঘনফুট ১৭ টা হলেও স্থানীয় ভাবে বোরিং করে মাটি তলদেশ থেকে অবৈধ ভাবে বালু উঠাচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক আঃ রাজ্জাক।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পুকুর বোরিং করে বালু উত্তোলনে পুকুরের মালিককে প্রতি ঘনফুট বালু ৩ টাকা ও ড্রেজার মালিককে প্রতি ঘনফুট ৪ টাকা করে দিয়ে অবৈধ পন্থায় বালু উঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ড্রেজার মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, আঃ রাজ্জাক আমার মেসিনের দ্বায়িত্ব নিয়ে বালু উঠাচ্ছে। আমাকে ৪ টাকা দরে প্রতি ঘনফুট বালু উঠানো কথা হয়েছে।
মোঃ রাজ্জাক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক আঃ রাজ্জাক মোবাইলে বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানের সস্মতি নিয়ে বালু উঠাচ্ছি। আপনাকে কত টাকা দিতে হবে তাই বলেন!
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, বোরিং করে মাটির নিচ থেকে কোন মতেই বালু উঠানো ঠিক না। আমাদের এলাকাটি প্রতিবেশ সংকটপন্ন এলাকা। সরকারের কাছ থেকে টেন্ডার গ্রহণ করেছে বালু মহল থেকে বালু আনতে হবে। এভাবে অবৈধপন্থায় বালু উঠাতে পারে না।
এদিকে উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছবিরার রহমান বলেন, বোরিং করে বালু উত্তোলন করলে প্রাকৃতিক ভারসম্য সহ পরিবেশের ক্ষতির মধ্যে স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলে নেতিবাচক পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানি ও বায়ুদূষণ, প্রাকৃতিক ভূচিত্র নষ্ট হওয়া সহ বিভিন্ন ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শহিদুল্লাহকে বার বার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।