
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগের বিবরণী সূত্রে জানাগেছে যে, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার জেএল নং ৮১, সিএস খতিয়ান ৩৬২,৩৫৯, এসএ খাতিয়ান ৫৫৫,৫৫২, আরএস খতিয়ান ৪৪৫,৪৪৮, সিএস দাগ নং ১৪৮৪, এসএ দাগ নং ১৯৮৮, ১৯৯৫, জমির পরিমান ১.৩২ একর। জমির মালিক হরিচরন মন্ডল নালিশী সম্পত্তি ভোগ দখল থাকা অবস্থায় ১ পুত্র রবিন্দ্র মন্ডলকে ওয়ারেশ রেখে মৃত্যুবরণ করেন। রবিন্দ্র মন্ডল পিতার ওয়ারেশ সূত্রের সম্পত্তি গত ২৫ এপ্রিল ১৯৭৮ সালে শ্যামনগর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ৩৬৯৯নং সাব কোবলা দলিলমূলে এবং বিগত ৩ মে ১৯৭৮ সালে শ্যামনগর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ৪০৭১ নং সাব কোবলা দলিলে সৈয়েদ ব্রাদাস্ প্রো: জি এম সাইদুর রহমানের নিকট হস্তান্তর করে নিস্বত্ববান হন।
জি এম সাইদুর রহমান সাব কোবলার দলিল মূলে খরিদ করে ভোগদখল থাকা অবস্থায় শ্যামনগর রাজস্ব আদালতে নিজ নামে নামজারী করেন। ১৯৮০-১৯৮১ সাল, কেস নং ১৩১৮, তহশীলে ৫৬০/১৫৭ দুইটি হোল্ডিং খুলে খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওয়ারেশ সূত্রে তফশীল বর্নিত সম্পত্তিতে ৪ পুত্র ও ৫ কন্যা এবং স্ত্রী সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদালতে ১৬৮৯ (ওঢ-ও) ২০১৭-২০১৮, ৫২৩ (ওঢ-ও) ২০১৯-২০২০ নামজারি ও ২২৬১, ২৩৪৭ পৃথক হোল্ডিং খুলে খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল থাকা অবস্থায় সেটেমেন্ট জরিপে জি এম সাইদুর রহমান সহ তার ৪ ভাইয়ের নাম অর্ন্তভূক্ত হয়। সেকারনে সেটেলমেন্ট আদালতে ৫০১২০/১৪, ৫৯৪২৫/১৫ পূনঃ শুনানীর জন্য বিচারাধীন রয়েছে।
গত ২০২০ সালে এইচ এম গোলাম রেজা গং শ্যামনগর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের মাধ্যমে সাইদুর রহমান দিং এর সম্পত্তি দলিল মূলে খরিদ করেন। এইচ এম গোলাম রেজা পরে নামজারির জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করলে জি এম সাইদুর রহমানের ওয়ারেশদের নামজারী বাতিল করে দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী।
ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ২১৯৭ হোল্ডিং খুলে, তহশীল হোল্ডিং নং ১৭০৫, ১৭৯৭, ২০১৭-২০১৮ (ওঢ-ও) ৭৭২ নং কেস নামজারী, ২০১১-২০১২ (ওঢ-ও) ১০১৫ নং কেস নামজারী ২০১১-২০১২ (ওঢ-ও) ১০১৪ নং কেস সৃজন করে জালিয়াতির মাধ্যমে সত্যকে গোপন করে এবং কিছু দলিলপত্র মালিক বিহীন স্বার্থ ছাড়া তৈরী করে নামজারী করেন।
তারই প্রেক্ষিতে গত ১৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখে এইচ এম গোলাম রেজা মামলা প্রস্ততি নিয়ে নামজারী বাতিলের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরন চেয়ে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ প্রদর্শন করেন।
এইচ এম গোলাম রেজা বলেন, আমার পরিবারের আমি সহ ৩ জনের নামে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল মূলে ক্রয় করি। পরে নামজারির জন্য শ্যামনগর ভূমি অফিসে আবেদন করি। কিন্তু এসিল্যান্ড আব্দুল হাই সিদ্দীকি কৌশলে প্রতিহিংসার বশতঃ সাইদুর রহমানের ছেলেদের নামের নামজারী বাতিল করে দেন। যার কেস নং ৩৫/১৯ বাতিল করার কারণ আমি কিনেছি তাই। আমি তার কাছে নামজারী বাতিলের জন্য কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনারা আদালতে যান, তার পরে দেখা যাক কি করা যায়।
শ্যামনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি সহ কয়েকজনের নামে এই নোটিশ এসেছে।