নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ও রমজাননগরের প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আসছে অবৈধ গরু ও মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যাল। সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের উপর দিয়ে ভারত থেকে আসছে অবৈধ গরু, সেই সাথে অভিযোগ আছে মাদকদ্রব্য আমদানিরও।
জেলার বিভিন্ন স্থানে খাটাল থাকলেও শ্যামনগরে কোন বৈধ খাটালের অনুমোদন নেই। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা উপরি মহল ম্যানেজ করে ভারত থেকে অবৈধ পথে সুন্দরবনের উপর দিয়ে গরু নিয়ে আসছে। তবে এখানেই শেষ না, তার সাথেও আসছে ইয়াবা, বিদেশী মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা সহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য সহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে যে, একদল সক্রিয় পাঁচারকারী সদস্যরা অবৈধ গরু ভারত থেকে সুন্দরবনের কচুখালী নামক স্থানে রেখে মোবাইল করলে তাদের সঙ্গীরা সেখান থেকে অবৈধ গরু ও মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যাল গুলো রাঁতের আধাঁরে পার করে থাকে। এই সব অবৈধ গরু ও মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যাল রাঁতের আধাঁরে গোলাখালী বা মরগাং নামক স্থান দিয়ে পাশের্^খালী কালভার্ট পার করে নাসির আলী ব্রীজ হয়ে বংশিপুর দিয়ে শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। তবে এই চক্রের মূল হোতা কে? যাচায় করার জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি তৎপর।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে যে, এই অবৈধ গরু ও মাদকদ্রব্য সহ কেমিক্যাল পাঁচার কাজে জড়িয়ে পড়ছে যুব সমাজ। আর্থের বিনিময়ে চারদিকে পাহারা দিতে তারা পেয়ে থাকে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা। পাঁচারের সময় তারা স্থানীয় প্রশাসনের গতিবিধি লক্ষ করে পাঁচারকারীদের তথ্য দেয়াসহ সহ স্থানীয় সাধারণ মানুষের ত্রাস হয়ে থাকে। যার কারনে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে নারাজ। এই সব পাঁচারকারীদের নামে ডজন খানেক করে মামলা থাকলেও তারা বুক ফুঁলিয়ে পাঁচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু প্রভাশালী মহলও এই পাঁচারকারীদের সহযোগীতা করে থাকে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ‘বিষয়টি জানি না। তবে আমি খবর নিয়ে অবশ্যই পাঁচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’