করােনা ভাইরাস্ সংক্রমনের রোধে শ্যামনগর উপজেলায় হোম কোরেনটাইনের ফলে আর্থিক সংকটে পতিত হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা এখন ব্যবসার টাকা সাংসারিক খরচে ব্যাবহার করছেন। অল্পপুঁজি নিয়ে লাভের অংশটা খরচ হতো সংসারের পিছে। হঠাৎ করোনার উদয়, ফলে বন্ধ করতে হলো অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখন কি হবে? কিভাবে চলবে তাদের? না পারবে কারো কাছে চাইতে, না পারবে কাউকে বলতে। সরকারী-বেসরকারী, সেচ্ছাসেবীরা গরীব, দুস্থ্য মানুষের পাশে থাকলেও নেই মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের পাশে।
এমন ধরনের কথা জানালেন, ভেটখালী বাজারের একজন মধ্যবিত্ত আয়ের ভেরাইটিজ ষ্টোরের মালিক আব্দুল গাজী। তিনি বলেন, আমার যা পুঁজি ছিলো সব মাল কেনা শেষ। এখন যা অল্প কিছু টাকা ছিল, তাও শেষ হতে চলছে। জানি না এভাবে কয়দিন বন্ধ থাকবে? কি হবে কিছু বুঝতে পারছি না। অভাবের সংসার কি ভাবে চলবে?
তবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বলেন, উপজেলা থেকে যা আসছে তাতে করে ইউনিয়নের জনসংখ্যা অনুযায়ী গরীব, দুস্থ্য মানুষেরা কোন রকমে পাচ্ছে৷ কিন্তু এতো মানুষের মাঝে কি ভাবে দেবো? তবে জেলার সকল ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি অর্থিক অনুদান দিতেন তবে মনে হয় কিছুটা সংকট পূরন হতো।
তাই প্রশাসন ও সকল ধনাঢ্য পরিবারের কাছে মধ্যবিত্ত পরিবারদের সাহায্যের জন্য অনুরোধ করছেন সচেতন মহল৷