নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশুনিতে শোকের মাস আগস্টের প্রথম প্রহরেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডলের উপস্থিতিতে পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিন পালন ও কেক কেটে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়েছে। শোকের মাসের প্রথম প্রহরেই আশাশুনি উপজেলা সদরে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন।
শোকের মাস আগস্ট, এমাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারে নিহত হয়ে ছিলেন। একারনে আগষ্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে ঘোষণা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে কারণে তারই ধারাবাহিকতায় বাংলার মানুষ এ মাসকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এবং আনন্দ উল্লাস থেকে বিরত থাকে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগষ্টে তার নিজ জন্মদিন বর্জন করেছেন। কিন্তু আশাশুনি উপজেলায় ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশীত বিতর্কিত ঘটনা। স্বয়ং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডলের উপস্থিতিতে আশাশুনি সদরের আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম বদরুল আলম ছট্টুর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা এস এম তাসকিন আহমেদের জন্মদিনের উৎসব পালিত হলো। যেটা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। উপস্থিত নেতাকর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা গেলেও স্বাস্থ্য বিধি ও বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করায় এবং অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কড়াকড়ি না থাকায় জনমনে প্রশাসনের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। হাট বাজার থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে চলছে এমনই কথা, "কি সে কি কথা" আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হয়ে শোকের মাসে ছাত্রলীগ নেতার জন্মদিন পালন? বাহ বাহ" যেখানে আওয়ামী লীগের বিরোধী দল তাদের জন্ম দিন দিবস বর্জন করলো, সেখানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্ম দিন পালন করলো আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা। এ লজ্জা কার? দলের নাকি জাতির? জানতে চায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার মানুষ।
জন্ম দিন ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোল্যা রফিকুল ইসলাম, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার বৈদ্য, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা এস এম কামরুল ইসলাম, জবেদ আলী, আঃ রহিম সরদার, বাবু, মজিদ, সিরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেনসহ সকল ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অগাস্টের প্রথম প্রহরে জন্মদিন পালনের বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডলে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
একই বিষয়ে কথা বলতে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম আহমেদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলামও ফোন না ধরায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।