মো.কামাল উদ্দিন :
আমার নিজের উপর লেখা লিখার পাশাপাশি জানান দেওয়ার চেষ্টা করবো, আমাদের সভ্যতার লেখা লেখি শুরু কখন থেকে হয়েছিল, শুরুটাই প্রকাশনা শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে শুরু করলে সম্ভবত ভালো হয়।যেহেতু শৈলী একটি সুনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। গ্রন্হ প্রকাশনা শিল্পের উন্নয়ন দেশে দেশে রিডিং সোসাইটি গড়ে তোলার মাধ্যমেই সম্ভবতঃ এটি ইউনেস্কোর আশি দশকের কথা। এই ইউনেস্কো ১৯৭২ সালকে আন্তর্জাতিক গ্রন্হবর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে 'সবার জন্য বই' শ্লোগানটি আমাদের কাছে উপস্থিত করেছিল।
সদস্য দেশ হিসেবে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশও এই আহরনে সাড়া দিয়েছিল। আমাদের সবাইরই মনে আছে জাতীয় গ্রন্হ কেন্দ্রের উদ্যোগে বাংলা একাডেমী প্রাঙনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গ্রন্হ মেলার কথা। ২০শে ডিসেম্বর থেকে ২৬ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই গ্রন্হমেলাকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন সেমিনার তখন দৈনিক সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় খবরে পরিনত হয়েছিল যদিও বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সেই প্রথম গ্রন্হমেলার পরিচয়।
কিন্তু "সবার জন্য বই" শ্লোগানটি মুখের কথা ও প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেই গেছে। কাছ এতটুকুও এগোয়নি। সত্যিই -,তো সবার জন্য বই কথাটির ব্যাপ্তি বহুদূর। যে দেশের (তখনকার কথা)পঁচাত্তর ভাগ মানুষ অশিক্ষিত, যেখানে জনগণের বই কেনার ক্ষমতা নেই, শিক্ষিত লোকের বই পড়ার অভ্যাস নেই, স্কুল, কলজে, মাদ্রাসায় কোথাও পাঠাগার নেই - সেই দেশে অনেক পরিশ্রম, অনেক উদ্যোগ একত্রে না হলে কিভাবে ঐ লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব? সুতরাং সবাই জন্য বই কথাটি আজ পর্যন্ত শ্লোলগানসর্বস্ব হয়ে বেঁচে থাকলো।
অবশ্য এই ব্যর্থতার জন্য কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে দায়ী করা যাবেনা। স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পরও আমরা কতটুকু এগুতে পেরেছি? যদি দেশ না এগুতে পারে প্রকাশনা শিল্প একা কিভাবে অগ্রসর হবে? হাজারো বাঁধা বিপত্তির মাঝে-ও আমাদের চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী শৈলী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনেক দূরে এগিয়ে গেছেন। আমি সেই শৈলীর লেখক হিসেবে লেখা লিখতে গর্ববোধ করছি। আমরা শুনেছি, জেনেছি লেখা শেখার কোনো স্কুল নেই, কিন্তু লেখা শিখতে হলে পড়তে হবে।
ব্যাপারখানা অনেকটা এমন যে পাঠশালা থাকুক বা না থাকুক পাঠের ঝক্কি থেকে ছাত্রের মুক্তি নেই। পড়তে তাঁকে হবেই।কিন্তু কী তাঁর পাঠ্য,কেমন তার পাঠ্যসসূচি?লেখকের পঠন সূচি কোনো ছিমছাম সাজানো তালিকা নয়। এ- এক বিশাল পাঠ্যবইয়ে অবিন্যস্ত সূচিপত্র। এর কোনো নিদিষ্ট আকার আয়তন নেইঃ সীমা পরিসীমা নেই। সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত এর পরিধি বিস্তৃত। এই পরিধি থেকেই প্রয়োজনীয় পাঠ গ্রহণ হয় একজন লেখককে।সেই কথা মাথায় নিয়ে ছোট্ট বেলা থেকেই বই পড়তাম, পাঠশালার বিষয়ভিত্তিক নিয়মিত পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই।
একটি সত্যি কথা যে, পঠনপাঠনই লেখককের প্রাণশক্তি উৎস পঠনপাঠনই লেখককে এনে দেয় লেখার প্রস্তুতি। কিন্তু লেখা লেখি শুরু করার আগে এই প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ খুব কম লেখকর জীবনেই ঘটে। পারিবারিক ঐতিহ্য সূত্রে যাঁরা সাহিত্যচর্চা শুরু করেন তাদের কথা আলাদা। বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠিত সব লেখকের জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বেশি ভাগ লেখকেরই লেখক হওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে ক্লাসের পাঠ্যবই।সেই ১৯৮৭/৮৮ সালের দিকে যখন লেখা লেখি শুরু করি তখন কিন্ত লেখার চেয়ে পড়তাম বেশি, তবে কি লিখবো, কেন লিখতে হবে, লিখলে কি লাভ, তা মনের মাঝে অতধারণা ছিলোনা। লেখক হতে হলেযে লেখার কলাকৌশল শিখতে হয় তা বুঝার পর,তখন আমার উদ্দেশ্য ছিলো লেখক হওয়ার কলাকৌশল জানা এবং শেখা।
কলা- কৌশলের আকার- প্রকার খুঁজতে গিয়েই আমি পৃথিবীর অধিকাংশ সেরা সেরা বিখ্যাত লেখককের বই পড়ার চেষ্টা করেছি। সেই থেকেই আমি একে একে সাহিত্যের সব বিভাগের সঙ্গে পরিচিত হলাম। আমি জানলাম এবং বুঝলাম, সাহিত্য একক কিছু নয়।অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, কল্লনা,বাস্তব, ভাব, ভাষা,জীবন সময়,সমাজ,সৌন্দর্য, রস,শিল্প, ইত্যাদি সহিতত্বে, মিলনে রচিত যে-মাধ্যম তার নামেই সাহিত্য। সুতরাং সাহিত্য এমন বিশাল বিষয় যে, তার স্বরুপ জানা সহজ নয়।তার কূল নেই, কিনারা নেই, সে যেন এক অথই সাগর। আমি সেই সমুদ্রের পানে ছুটে চলতে গিয়ে আমি লেখার স্বাদ নেব এবং লেখক হওয়ার সব কলাকৌশল আমার জানার দরকার হওয়াতেই আমি বিগত ২০০২ সালে শৈলীর উদ্যোগে লেখকের মানস গঠনমূলক কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলাম।
সেই কর্মশালায় অংশ নেওয়া পর নিজের মধ্য লেখক হওয়ার ধারণা জমে ছিলো। সাহস ও মননশীলতা নিয়ে এগিয়ে গিয়ে লেখক বাসনা পরিপূর্ণ করার মনসে বিদ্যা অর্জনের জন্য বিদ্যাসাগরের পাড়ি জমায়ে ছিলসম, সেই পাড়ি এখনো শেষ হয়নি। একজন লেখক ও সাংবাদিকে মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত বিদ্যা অর্জনে বিদ্যা সাগরে সাঁতারাতে হবে। আমার লেখক সত্তার প্রথম স্বীকৃতি পেয়েছে ২০০৮ সালে শৈলী প্রাকাশন থেকে আমার প্রথম সাহিত্য বিদ্যার সন্তান "বাঁকা কথা" গ্রন্হ প্রকাশের মাধ্যমে। এই গ্রন্হ প্রকাশের জন্য সব চেয়ে আমসকে বেশি বেশি প্রেরণা জোগায়ে ছিলেন স্টার কম্পিউটারের মিলন'দা তিনি আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই, আমি তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধাজানাচ্ছি।
আজকের সু-সংবাদ হলো, আমারা যাঁরা অক্ষরজীবী, অক্ষর বিক্রি করে জীবন জীবীকা নির্বাহ করি, সাহিত্য প্রেমি, তরুণ ও বরেণ্য লেখকদের ঘর হিসেবে পরিচিত, দেশের অসংখ্য লেখক বানানোর দৃষ্টান্ত সৃষ্টির অন্যতম প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান "শৈলীর " মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৮ই মার্চ চট্টগ্রাম শিল্প কলা একাডেমিতে। ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবসও বটেই। এয়ই মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মাস, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের মাস, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের মাস, আমাদের চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের কৃতি শিশু সাহিত্যিক,কবি সাংবাদিক আমার খুবই প্রিয় মানুষ রাশেদ রউফ ভাইয়ের হাতে এই লেখক সৃষ্টির প্রতিষ্ঠানটি জন্ম নিয়েছিলো আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে ১৯৯৫ সালে, এই শৈলী থেকে অন্ততঃ পক্ষে দুই হাজারের মতো বিভিন্ন লেখার বই প্রকাশিত হয়েছে। অসংখ্য লেখক সৃষ্টির একমাত্র প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে দেশ এবং দেশের বাইরে।
এই শৈলী লেখক সৃষ্টির পাশাপাশি পাঠকও সৃষ্টি করেছ লক্ষ লক্ষ। শৈলী থেকে আমার একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। এই শৈলী আমাকে লেখক হিসেবে পরিচিত করে তোলার ভুমিকা পালন করেছে। যা- আমি চিরজীবন মনে রাখবো, তাতে আমি শৈলীর কাছে কৃতজ্ঞ। শৈলী শুধু আমাকে নয়, আমার মতো অসংখ্য কাঁচা হাতের লেখার মানুষকে পাকা লেখক বানিয়েছে লেখা লিখার মুখি করে। এই শৈলীর বহু অর্জন রয়েছে সাহিত্যকের সাহিত্য বিস্তারে। শৈলীর আছে একটি লেখক সৃষ্টির গৌরব গাঁথা ইতিহাস।
আমরা এখন শৈলীর লেখকরা সাহিত্যঙনে দামাল হরবোলা। ৮মার্চ আমাদের উপস্থিতিতে কলকোলাহলে মুখরিত হবে চট্টগ্রাম শিল্প কলা একাডেমি।আমি একজন শৈলী পরিবারের লেখক হিসেবে,লেখক শৈলী নিয়ে একটু আলোচনা করা আমার প্রয়োজন বলে মনে করি।তাই চলুন -- লেখালেখি পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা যায়, ভাষার লিখনের বহু পূর্বে সংখ্যার লিখনের সূচনা হয়। কীভাবে সংখ্যার লিখনের সূচনা হয় তার জন্য সংখ্যা লিখার ইতিহাস দেখুন।
এই ব্যাপারে ঐকমত্য রয়েছে যে ভাষার (শুধু সংখ্যা নয়) সত্যিকারের লিখনপদ্ধতির উদভাবন স্বাধীনভাবে অন্তত দুই জায়গায় ঘটেছিল,মেসোপটেমিয়াতে (প্রাচীণ সুমের) ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এবং মেসোয়ামেরিকাতে ৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে। বেশ কয়েকটি মেসোয়ামেরিকান লিপি জানা আছে, এর মাঝে সবচেয়ে প্রাচীণ হল মেক্সিকোর ওলমেক অথবা জাপোতেক । প্রাচীণ মিশরে (৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে) এবং চীনে (১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে) স্বাধীনভাবে লিখনপদ্ধতির উদভব হয়ছিল নাকি সাংস্কৃতিক বিস্তারের মাধ্যমে লিখনপদ্ধতির উদভব হয়েছিল এ ব্যাপারে ইতিহাসবিদগণের মাঝে বিতর্ক রয়েছে অন্য কথায় লিখনির মাধ্যমে ভাষাকে প্রকাশ করার ধারণা কি বণিকদের মাধ্যমে এই দুই অঞ্চলে পৌছেছিল নাকি এই ধারণা স্বাধীনভাবে এই অঞ্চলে উদভব হয়েছিল?
তবে চীনা লিপি সম্ভবত স্বাধীণভাবে উদভাবিত হয়েছিল, কারণ চীন এবং নিকট প্রাচ্যের (মেসোপটেমিয়া) লিপি ব্যবহারকারী সভ্যতাগুলোর মাঝে যোগাযোগের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না এবং চিত্রলিপির ব্যবহার ও ধ্বনির প্রকাশের ক্ষেত্রে চীনা ও মেসোপটেমিয় পদ্ধতির মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। মিশরীয় চিত্রলিপি মেসোপটেমীয় কীলকলিপির থেকে ভিন্ন, কিন্তু ধারণাগত সাদৃশ্য প্রাচীণ সাক্ষ্য থেকে অনুমান করা যায় যে লিখনপদ্ধতি মেসোপটেমিয়া থেকে মিশরে এসেছিল।
১৯৯৯ সালে Archaeology Magazine এ রিপোর্ট করা হয়েছিল যে সর্বপ্রথম মিশরীয় লিপির সময়কাল ৩৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ, এটি "এই সাধারণ বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যে সর্বপ্রথম মেসোপটেমিয়ায় চিত্রলিপি (যেখানে একটি জায়গা, বস্তু অথবা পরিমাণকে একটি চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়) থেকে ধ্বনিলিপির (যেখানে একেকটি ধ্বনিকে একেকটি চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়) বিকাশ সাধন হয়"।
অনুরূপ বিতর্ক ব্রোঞ্জ যুগের সিন্ধু সভ্যতার (প্রাচীন ভারত ২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) সিন্ধু লিপিকে ঘিরেও রয়েছে। উপরন্তু, সিন্ধু লিপির পাঠোদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি এবং এটি সত্যিকারের লিখনপদ্ধতি নাকি প্রোটো-লিখনপদ্ধতি অথবা অ-ভাষাগত চিহ্নপদ্ধতি তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
আরেকটি সম্ভাবনা হল ইস্টার দ্বীপের রোঙ্গোরোঙ্গো স্ক্রিপ্ট । এটি সত্যিকারের লিখনপদ্ধতি কিনা এবং এটি সাংস্কৃতিক বিস্তারের আরেকটি উদাহরণ কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর প্রাচীনতম উদাহরণ পাওয়া যায় ১৮৫১ সালে, ইউরোপীয়দের সাথে তাদের প্রথম যোগাযোগের ১৩৯ বছর পরে। এর এক ব্যাখ্যা এই যে, ১৭৭০ সালে একটি স্পেনিশ অভিযাত্রী দলের দেওয়া একটি লিখিত দখলদারীর ঘোষণা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই লিপির উদভব হয়েছে।
সাংস্কৃতিক বিস্তারের আরও অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়, যেখানে লিখনপদ্ধতির সাধারণ ধারণা এক সংস্কৃতি থেকে আরেক সংস্কৃতিতে যায় কিন্তু লিখনপদ্ধতির খুঁটিনাটি স্বাধীনভাবে বিকাশ লাভ করে। এর একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ হল চেরোকি লিপি উদভাবক সেকোয়াহ, এবং পাওয়াহ মং লিখনপদ্ধতি যা মং ভাষা লিখার জন্য ব্যবহৃত হয়। অক্ষর ও অন্যান্য চিহ্নের সাহায্যে ভাষাকে প্রকাশ করার পদ্ধতির বিকাশ এবং বিকাশের আলোচনা ও বিবরণ লেখার ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত।
বিভিন্ন সভ্যতায় চিহ্নের সাহায্যে ভাষাকে প্রকাশ করার পদ্ধতি কীভাবে বিকশিত হয়েছে তার ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই, অধিক বিকশিত লিখন পদ্ধতির পূর্বে প্রোটো-লিখনপদ্ধতির বিকাশ হয়। প্রোটো-লিখনপদ্ধতিতে ছবির সাহায্যে (ধারকলিপি) কিংবা নেমনিকের সাহায্যে ভাষাকে প্রকাশ করা হয়। সত্যিকারের লিখনপদ্ধতির বিকাশ আরও পরে হয়েছিল, যেখানে উচ্চারিত শব্দকে চিহ্নের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়, যাতে পাঠক উচ্চারিত শব্দ অনেকখানি পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
এটি প্রোটো-লিখনপদ্ধতি থেকে আলাদা, যাতে সাধারণত ব্যাকরণগত শব্দ এবং প্রত্যয় অনুপস্থিত থাকে। ফলে এথেকে সঠিক অর্থ পুনরুদ্ধার করা কঠিন যদি না কি প্রসঙ্গে লিখা হয়েছিল সে ব্যাপারে আগে থেকে অনেক জানা না থাকে।একেবারে প্রথম দিককার একটি লিখন পদ্ধতি কীলকাকার লিপি. স্পেনীয় লেখক গ্যাস্পার মেলকর ডি জোভেলানোস,
তাঁর লেখার সরঞ্জামসহ পেশা
প্রায়োগিক ক্ষেত্র সাহিত্য
বিবরণ যোগ্যতা ভাষাগত দক্ষতা, ব্যাকরণ,
সাক্ষরতা সম্পর্কিত পেশা
সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক, কবি
চারুকলার ক্ষেত্রে "লেখক" শব্দটি অন্য কোথাও ব্যবহৃত
হয়, যেমন গীতি লেখক – তবে শুধু "লেখক" বললে সাধারণত, যিনি লিখিত ভাষা তৈরি করেন, তাঁকে বোঝায়। কিছু লেখক মৌখিক প্রথা থেকে কাজ করেন।
লেখকরা কাল্পনিক বা বাস্তব বেশ কয়েকটি রীতির উপাদান তৈরি করতে পারেন। অনেক লেখক তাঁদের ধারণাকে সবার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করেন – উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফিক্স বা চিত্রণ। নাগরিক এবং সরকারী পাঠকদের দ্বারা, অ-কাল্পনিক প্রযুক্তিবিদদের কাজের জন্য, সাম্প্রতিক আরেকটি চাহিদা তৈরি হয়েছে, যাদের দক্ষতা ব্যবহারিক বা বৈজ্ঞানিক প্রকৃতির বোধগম্য, ব্যাখ্যামূলক দস্তাবেজ তৈরি করে। কিছু লেখক তাঁদের লেখাকে আরও বোধগম্য করার জন্য চিত্র (অঙ্কন, চিত্রকর্ম, গ্রাফিক্স) বা মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। বিরল দৃষ্টান্তে, সৃজনশীল লেখকগণ তাঁদের ধারণাগুলি সংগীতের পাশাপাশি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হন। লেখকের স্ত্রীবাচক শব্দ হচ্ছে লেখিকা। লেখককে অনেকক্ষেত্রে গ্রন্থকারের সমার্থক শব্দরূপে গণ্য করা হয়।
কিন্তু লেখক শব্দটি মূলতঃ ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাঁদের নিজস্ব রচনাগুলি সৃষ্টির পাশাপাশি, লেখকরা প্রায়শই 'কীভাবে' তাঁরা লেখেন সেটাও প্রকাশ করেন (অর্থাৎ, যে প্রক্রিয়াটি তাঁরা লেখার জন্য ব্যবহার করেন);কেন তাঁরা লেখেন (অর্থাৎ তাদের প্রেরণা কি); এবং অন্যান্য লেখকের কাজের বিষয়েও মন্তব্য (সমালোচনা) করেন।
লেখকরা পেশাদার বা অপেশাদারভাবে কাজ করেন, অর্থাৎ, অর্থের জন্য বা অর্থ ছাড়াই, এছাড়াও অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করে (বা কাজ শেষ করার পর), বা কেবল তাঁদের কাজ প্রকাশিত হবার পরে। অর্থ প্রাপ্তি লেখকদের অনেক অনুপ্রেরণার মধ্যে একটি, অনেকে তাঁদের কাজের জন্য কখনও কোন অর্থই পান না লেখক শব্দটি প্রায়শই সৃষ্টি মূলক লেখক এর প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যদিও পরবর্তী শব্দটির কিছুটা বিস্তৃত অর্থ রয়েছে এবং লেখার কোনও অংশের জন্য আইনি দায়িত্ব জানাতে ব্যবহৃত হয়, এমনকি এর রচনাটি বেনামে, অজানা বা সহযোগী হলেও।
এতক্ষণ লেখার প্রচীন ইতিহাস লিখতে গিয়ে কিছু কথা হয়তো বেশি বলে পেলেছি সম্ভবত। আমি একজন পেন সদস্য- পেন হলো সারাবিশ্বের লেখকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন, এ-ই সংগঠনের সাথে পৃথিবীর অসংখ্য বিখ্যাত লেখকরা জড়িত আছে। এই শৈলীর কর্ণধার কবি রাশেদ রউফ ভাইয়ের দীর্ঘ মেধাভিত্তিক পরিশ্রমের ফসল হলো চট্টগ্রাম একাডেমি, সেই একাডেমিরও আমি একজন গর্বিত সদস্য, একাডেমির উদ্যোগে নিয়মিত ভাবে স্বাধীনতা বই মেলা করাসহ বিভিন্ন দিবস নিয়ে লেখকদের মেলবন্ধন মূলক একাধিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শৈলী থেকে প্রকাশিত আমার প্রথম বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান করেছিল অবস সাংসৃতিক সংগঠন, মুল আলোচনায় ছিলেন বাংলা ভাষার গবেষক ড. মাহবুবুর হক। বর্তমান আমার লেখা বইয়ের সংখ্যা ২৭টি, আরো একাধিক পাণ্ডুলিপি হাতে রয়েছে, প্রকাশের অপেক্ষায়। আমি বিগত সময়ের নিয়মিত লিখতাম, দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বকোন ও সুপ্রভাত বাংলাদেশ সহ একাধিক পত্রিকায়।
এখন নিয়মিত লিখে আসছি, দৈনিক সকালের সময়, দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা, দৈনিক শাহ আমানত,দৈনিক সাত নদী পত্রিকা ও একাধিক অনলাইন পোর্টাল এবং ম্যাগাজিনে। সাংবাদিকতা করে আসছি আমার নিজের পত্রিকা সাপ্তাহিক সময়ের আলো পত্রিকা ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালের সময়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর টেলিভিশনে উপস্থাপনা করে থাকি। লেখা- লেখির সুবাদে আমি পৃথিবীর অসংখ্য দেশে গিয়েছি এবং বহু নোবেলজয়ী সাহিত্যিকদের এবং সৌদি আরবের বিদ্রহী নারী রাজকন্যা সুরাইয়া সাক্ষাৎ নিয়েছিলাম ২০০৫ সালে কাতারের শেরাটন হোটেল। শৈলীর লেখক- পাঠকদের মিলনমেলা ৮ ই মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, চট্টগ্রাম শিল্প কলা একাডেমিতে আপনিও আসবেন আমিও থাকবো ইনশাআল্লাহ---
"আমার লেখাতে তথ্য গতও বানানে কোনধরনের ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি "
লেখকঃ সাংবাদিক, গবেষক, সাহিত্যিক,টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম