করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে লকডাউনের বিকল্প নেই তবে লকডউন যেন মানুষের জীবন বিপন্ন না করে সেদিকে সরকার ও বিত্তবানদের খেয়াল করতে হবে। সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত লকডাউনে অসহায়-দূর্দশাগ্রস্থ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সরকারি ও বে-সরকারি সহায়তাই কেবল এ উভয় সংকটের আলোরপথ দেখাতে পারে। সাতনদীর সাথে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন, জেলার আমদানী-রপ্তানীকারক সমিতির সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদাউস আলফা।
সাতক্ষীরায় করোনার মারাত্মক ছোবলের কথা উল্লেখ করে আলফা সাতনদীকে বলেন, সীমান্ত জেলা হওয়ায় ওপার থেকে বৈধ-অবৈধপথে যেসব মানুষ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে এবং এর পাশাপাশি ভোমরা বন্দরে আমদানী-রপ্তানীর ক্ষেত্রে যে সব ভারতীয়রা এপারে আসে তারা করোনা পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করেছে। সরকার পদক্ষেপ নিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা করলেও তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি। এতে করে ১৪ দিন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় খাদ্য-ওষুধপত্র সংকট দেখা দিয়েছিল। ফলে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি বিশেষ সাহায়তার হাত বাড়িয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা কয়েক’শ মানুষের পাশে গিয়েছে সহায়তা নিয়ে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হৈ-চৈ ফেলে দেয়। ফলে কোয়ারেন্টাইনে রেখেও ভাল ফল পাওয়া যায়নি। এজন্য জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সভা করে জেলা ভিত্তিক ৭দিনের লকডাউন ঘোষণা করে গত ৩ জুন। আগামীকাল সপ্তমদিন। চলমান লকডাউনে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। দিন মজুর, ভ্যান-রিক্সা চালক সহ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে আছে। এসব মানুষের জন্য পরিকল্পিত ও প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তার যেমন খোঁজ নেই তেমনি ভাবে বিত্তবানদেরও তেমন এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। বিষয়টি দুঃখজনক।
পুলিশ প্রশাসন তল্লাশী চৌকি বসিয়ে লকডাউন কার্যকরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ভ্যান-রিক্সা আটক করে রাস্তায় উল্টিয়ে দিয়েছে মাঝেমধ্যে। কছিু অতি উৎসাহী জনপ্রতিনিধি লাঠি হাতে শাঁসিয়েছে বেরিয়ে পড়া মানুষ জনকে। কিন্তু কোন সহানুভূতি দেখায়নি। রাস্তায় বেরিয়ে পরা এসব নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ৭ দিনের পর্যাপ্ত খাদ্য কর্মসূচী নিতে পারতেন সরকার কিম্বা বিত্তবানরা। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষ লকডাউন অমান্য করতো না।
চলমান লকডাউনে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।