হাবিবুর রহমান: মাদক, গার্মেন্টস ও গোল্ড এর চোরাকারবারী মনি টাকার জোরে সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে। কালো টাকা সাদা করতে শহরে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হাঁকিয়েছে। বিএনপি পরিবারে বেড়ে উঠা মনির সাথে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও জয়ের সাথে সখ্যতার অভিযোগ আছে। আন্ডারওয়ার্ল্ড ঠিক রাখতে প্রশাসনের কর্তা-ব্যাক্তিদের নানাভাবে ব্যবহার করে আলোচিত এ চোরাকারবারি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত একদশকেরও বেশি সময় ধরে শহরের কাটিয়ার শেখ শফিউল্লাহ মনি ওরফে মোঃ মনি ওরফে শেখ মনিরুজ্জামান ারত-বাংলাদেশের মধ্যে চোরাইপণ্য এপার-ওপার করে আসছে। ওপার থেকে দেশে বড় বড় ফেন্সডিলের চালান আসতো। ট্রাকের মাধ্যমে সেটা সরবারাহ করতো দেশের অভ্যন্তরে। পাশাপাশি ওপার থেকে গত একদশক ধরে গার্মেন্ট পণ্য শাড়ী ও থ্রি-পিচের বড় বড় চালান নিয়ে আসে সে। গত একদশকধরে তার এ কারবার ওপেন সিক্রেট। একাধিকবার বিজিবি তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও গোডাউনে অভিযান চালিয়ে চোরাইপণ্য উদ্ধার করছে। মামলাও হয়েছে সেসব ঘটনায়। সে ফেন্সিডিল ও গার্মেন্টস পণ্যের পাশাপাশি শুরু করে বাংলাদেশ থেকে ওপারে গোল্ড ও এসির গ্যাস সিলিণ্ডার পাঠানো। বিপুল অর্থ ও বৈভবের মালিক মনির আন্ডারওয়ার্ল্ড টিকিয়ে রাখতে কাড়ি কাড়ি টাকাও ঢালতে হয়। গত ২০১৫ সালে ভারতে পাচারের সময় দুইট্রাক এসির গ্যাস সিলিণ্ডার আটক করে ডিবি পুলিশ। এসময় মনিকেও আটক করে রাখা হয় দুই দিন। পরে ২০ লক্ষ টাকার খরচ করে সে যাত্রা রেহাই পায় সে।
মনি এখন দেশের অন্যতম শীর্ষ গোল্ডস্মাগলার। গত একদশক ধরে সে এ কারবার করে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকতা ম্যানেজ করে সে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে চাইলেও মাঝে মধ্যে ধরাও খায়। তার বিরুদ্ধে গোল্ডস্মার্গলিং এর মামলা হয় মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায়। মামালা নং ১৭, তারিখ ১৭ জুলায় ২০১২। ধারা ২৫ ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন। এই মামালার এজাহারে মনির নাম ছিলো।
সাতক্ষীরা সদর থানায় ২০১৮ সালে ২৭শে জানুয়ারী ৫৮ নং মামলা হয়। এই মামলায় মনির নাম ছিল। একই থানায় ২০১২ সালের ৮ই আগষ্ট ২৭ নং
একটি মামলা হয়। ধারা ছিল ২৫-ন এর ১ (ন) ১৯৭৪ সালের বিশেষ-ক্ষমতা আইন। এই মামালা এজাহারে মনির নাম ছিল। একই থানায় ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর মনির নামে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়। মামলা নং জি আর ৫৫২/০৮। একই থানায় ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি ৭০ নং একটি মামলা হয়। এই মামলায়ও মনির নাম ছিল। মনির আছে গোল্ডস্মার্গলিং এর জন্য ২ টি প্রাইভেটকার। এই গাড়ী দুইটি ঢাকার তাঁতীবাজারের দুইজন ব্যাক্তির নামে। এই গাড়ী দুইটি প্রশাসন চেক করে না।
মনি প্রায়ই পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের নাম ভাঙিয়ে আস্ফালন করে থাকে। প্রশাসনের সাথে মনির সখ্যতার জন্য সে অনেকটা বিনা বাধায় চোরাকারবার চালিয়ে আসছে। (চলবে)