
জি, এম, নজরুল ইসলাম (শ্যামনগর) মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: শ্যামনগর সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের কাঁচা বাজারগুলোতে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শাক-সবজির দাম শুনে ক্রেতারা লাফিয়ে উঠছেন। বিভিন্ন হাট-বাজারে গত এক মাসের তুলনায় এ বছর সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। অথচ এখন শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরপুর বাজার। তবুও বাজারে শাক-সবজির চড়া দাম। আম’দানি কম হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে বলে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। এদিকে বাজারের তুলনামূলক ভাবে ক্রেতার উপস্থিতি কম। আর বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা।
শুক্রবার শ্যামনগর সহ আশ-পাশের ইউনিয়নের হাট-বাজার গিয়ে বেশি দামে ব্যবসায়ীদের সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচাম’রিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, করলা ১৫০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, খিরাই ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, লাল শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, চিছিঙা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কাঁচা কলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত, আলু ২৫ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া, পেঁয়াজের দাম বেড়ে এ পর্যন্ত ২৮০-৩৫০ পর্যন্ত হয়েছে।
অথচ মাস খানেক আগেও এসব হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচাম’রিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ থেকে ৩২ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা,শসা ২৮ থেকে ৩০ টাকা, ঝিঙা ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কচু ২০ থেকে ২৪ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩২ টাকা, চিছিঙা ২০ থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে ১০ থেকে ১২ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচা কলা (প্রতি হালি) ১২ থেকে ১৪ টাকা, প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
হরিনগর বাজার সংলগ্ন এলাকায় সবজী বিক্রেতা শহিদুল ইস’লাম জানান, কিছুদিন আগে বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের শত শত হেক্টর জমির তরকারি নষ্ট হয়ে গেছেন। যার ফলে চাহিদার তুলনায় খুব কম তরকারি উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। ফলে সবজীর দাম এত চড়া। তবে শীত মৌসুমের মাঝের দিকে যেয়ে সবজীর বাজার একটু শিতিল হবে বলে ধরনা করছেন এই ব্যবসায়ী।
দিনমজুর শ্রমিক জামাল গাজী জানান, তার রোজকার আয় ৩০০ টাকা। দিন শেষে সবজি বাজারে গেলে দুই থেকে তিন ধরনের শাক সবজী কিনলে তার টাকা শেষ হয়ে যায়। অন্য কানাকা’টা আর করতে পারেন না তিনি। দেশে সবজি’র এত দাম তাদের মত গরীবদের কাছে অ’ভিশাপস্বরুপ। এ সকল বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়, প্রাকৃতিক দূযোগের ফলে শাক-সবজির সহ সকল কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সেটার অল্প দিনের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবেন। তিনি আরও জানান, চাহিদার তুলনায় অল্প উৎপাদনের কারনে দ্রবমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।