ওসাসুনার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। ১৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়লেও স্বাগতিকরা দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিকে। কিন্তু ইনজুরি টাইমের গোলে হারের হতাশায় ডুবতে হয় কাতালানদের। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জিতে রিয়ালের শিরোপা নিশ্চিত তো হয়েই গেছে, তার সঙ্গে এই হার ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে কাতালানদের জন্য।
দুই দিন আগে লুইস সুয়ারেজ জানিয়েছিলেন, বার্সেলোনাই রিয়ালের শিরোপা জেতার পথ সহজ করে দিয়েছে। মেসিও বললেন একই কথা, ‘আমাদের নিজেদের সমালোচনা করতে হবে। খেলোয়াড়দের তো বটেই, বাকিদেরও। আমরা বার্সা এবং আমাদের সবকিছু জিততে হবে। আমরা মাদ্রিদের দিতে তাকিয়ে থাকতে পারি না... মাদ্রিদ তাদের কাজ করেছে, কিন্তু আমরা তাদের অনেক সাহায্য করেছি (শিরোপা জেতার পথে)।’
করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকা অবস্থায় এক সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছিলেন, বার্সেলোনা যেভাবে খেলছে, তাতে চ্যাম্পিয়নস জেতা সম্ভব নয়। ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা তো থাক, নাপোলির বিপক্ষে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগ নিয়েই শঙ্কায়! তাই বদলের ডাক তার কণ্ঠে, ‘আমরা যদি চ্যাম্পিয়ন লিগ জিততে চাই, তাহলে অনেক কিছু বদলাতে হবে। আর যদি এভাবে খেলতে থাকি, তাহলে নাপোলির বিপক্ষে ম্যাচটাই হেরে যাব।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমাদের অনেক কিছু পাল্টাতে হবে। খুব কাছেই নাপোলির বিপক্ষে ম্যাচ এবং সেখানে সবকিছু পরিবর্তন করতে হবে। এখন একটা বিরতি পাচ্ছি আমরা, আশা করছি এই সময়টা মানসিক অবস্থা পাল্টে ফেলতে সাহায্য করবে। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সময়টা সবার জন্য খুব খারাপ যাচ্ছে। আমার মনে হয়, চ্যাম্পিয়নস লিগের চার ম্যাচে ভালো করতে পারলে পুরো মৌসুমের গল্পটাই আমরা পাল্টে দিতে পারব।’
শিরোপা হারানোর যন্ত্রণা মেসি অনুভব করেন ভীষণ। যে কারণে সমালোচনার কারণটাও বোঝেন তিনি, ‘ক্লাব সংশ্লিষ্ট সবাই এবারের মৌসুম নিয়ে ক্ষুব্ধ, আর এটাই স্বাভাবিক। খেলোয়াড়দের অনুভূতিও একই। আর মানুষ সমালোচনা করবে, এটাই বাস্তব। এটা আসলে রোমা ও লিভারপুলের বিপক্ষে হারের মতো, কোনও কিছু জিততে না পারলে কেউই খুশি হবে না।’