
সরদার আবু সাইদঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামে ঈদগাহ যাওয়ার এবং গ্রামের সাধারন মানুষের দীর্ঘ ৩০বছর যাবত ব্যবহৃত রাস্তা দখল করে কায়বাত আলী পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। এতে চলাচলের রাস্তা হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন গোটা এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, বহুবছরের পুরোনো বড় রাস্তা যার পুরোটা দখল করে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। বাড়ির নির্মাণকাজের জন্য রাস্তার ধারের সব গাছ কাটা হয়ে গেছে এবং ভিট কাটা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। পাকা রাস্তার সাথে সংযোগ রাস্তাটি গ্রামের মাঝ দিয়ে বড় ঈদগাহের সাথে মিশেছে এবং মাঝ রাস্তায় বাড়ি নির্মানের কাজ চলছে। তবে এক কোনায় মানুষের চলাচলের জন্য সামান্য এক হাত জায়গা রাখা হয়েছে। গ্রামের এক পথরাচারী বলেন, বাড়িটি নির্মাণ করায় আমরা গ্রামবাসীরা চলাচল করতে পারছি না। আমরা বাড়িটি বানানোর কাজ অপসারণ করে রাস্তাটি উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।পায়রাডাঙার ইউপি সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, পায়রাডাঙা পুরাতন ঈদগাহ একটি ঐতিৎবাহী ঈদগাহ ময়দান এখানে রাস্তাটি দেশ স্বাধীনের পর থেকে আছে এবং ২০০০সালে ডাঃ আশরাফুল হক ইউপি সদস্য থাকাকালীন সরকারীভাবে প্রথম রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। পরে ১৫-১৬ অর্থ বছরে এল জি এস পি এর মাধ্যমে আবারো রাস্তাটি করা হয়। ২০বছরের বেশি একটি মাত্র রাস্তা এখন উনি কবে কিনেছেন আমরা সাধারন মানুষ কেউ জানিনা। এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল হোসেন মানি বলেন, রাস্তাটি তে সরকারি কাজ হয় এজন্য আমরা সবাই জানি এটা সরকারি রাস্তা। আর গোটা এলাকাবাসীর ঈদগাহ যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি যদি আটকে যায় তাহলে এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকবে না। যদিও উনি রাস্তার জমির মালিক দাবী করছেন তবুও একজনের জন্য পুরো এলাকাবাসীর ভোগান্তি হোক সচেতন নাগরিক হিসাবে আমি সেটা চাইতে পারিনা আমি মনে করি সকলে মিলে যদি চলাচলের মত একটা রাস্তার জায়গা রেখে কিছু করে তাহলে ভালো হয়। এ বিষয়ে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মুজিত বলেন, বিষয়টি আমি শোনার পর সরজমিনে গিয়েছি, ঈদগাহর রাস্তা বলে আমিও জেনে এসেছি রাস্তাটিতে এর আগেও সরকারি ভাবে কাজ হয়েছে তখন দাবী করেনি কোন। আমার কাছে এলাকাবাসী বলার পরে আমি কায়বাত আলী কে ডেকে যতটুকু জেনেছি রাস্তাটি তার কেনা সম্পত্তি এখন তার কাছ থেকে তো জোর করা নেওয়া যাচ্ছেনা এজন্য কায়বাত কে বলার পরে সে কিছু জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে এবং বাকিটা এলাকাবাসীকে দিতে বলেছে।
এ ব্যাপারে কায়বাত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার কেনা সম্পত্তি গ্রামের মানুষের জন্য আমি একা দেবো কেনো আগে দিয়েছিলাম এখন দেবো না, যার যা করার করতে পারেন। এ রকম অনেক জমি গ্রামের অনেকের দখলে রয়েছে। তা ছাড়া রাস্তার জন্য এক হাত জমি ফেলে রাখা হয়েছে এবার গ্রামবাসী ঐ একহাত জায়গার সাতে নিজেদের জায়গা জুড়ে দিক! তাহলে আর চলাচলের অসুবিধা হওয়ার কথা না। আসলে গ্রামের কিছু মানুষ আমার এখানে ঘর করাটা সহ্য করতে পারছে না।