অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উদযাপন করেছে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যোগ দেন পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদকে ১০০টি ল্যাপটপ দেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মো. রুহুল আমিন। এছাড়া মেধাবী ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল এক হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তির অংশ হিসেবে প্রতিমাসে জনপ্রতি ১৫ শত টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা অনুদানও দেন তরফদার রুহুল আমিন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি উপদেষ্টা তরফদার মো. রুহুল আমিন ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবং সংগঠনের সভাপতি কে. এম শহিদ উল্যা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আদরের ছোট ভাইয়ের জন্মদিন সামনে রেখে নানা স্মৃতিচারণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে বাংলার মাটিতে এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড যাতে না ঘটে সেজন্য সকলকে দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই তাদের প্রতি সহনশীল আচরণ এবং তাদেরকে প্রকৃত শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে হবে। করোনা মহামারীতে স্কুল বন্ধু। তাই ঘরে বসেই শিশুদের পাঠদান চালিয়ে নেয়ারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ রাসেলের জন্মদিন সামনে রেখে দাবা প্রতিযোগিতা ছাড়াও নানা ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দাবা প্রতিযোগিতা ও এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জনকারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার তুলে দেয়ার পাশাপাশি দাবা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা তরফদার মো. রুহুল আমিনকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। গণভবন থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজকদের ধন্যবাদ দেয়ার পাশাপাশি সংগঠন পরিচালনায় নানান পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন।