
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ: স্ত্রী সন্তান থাকতে পরকীয়ায় জড়িয়ে এক প্রধান শিক্ষক আর এক প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় বেরসিক জনতা ঘরে তালা দিয়ে আটকিয়ে গণধোলাইয়ের পর মুচেলিকায় মুক্তি। রবিবার রাত ১টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাগ দাড়িয়ালা গ্রামে প্রধান শিক্ষক জগোবন্ধু রায়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে ভাগ দাড়িয়ালা গ্রামে বাড়ি গোয়ালপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগো বন্ধু রায় সাংবাদিকদের জানান তিনি তার মা এবং স্ত্রী কে নিয়ে দুই তলা ভবনে বসবাস করি। আমার সহকর্মী মৌখালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ সরদারের পুত্র ড্যামরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম, গোলাম রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া চালিয়ে আসছিল।
গত রবিবার আমি অসুস্থ্য বোধ করায় বাড়ির ২য় তলায় রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঘুমাইয়া পড়ি। নিচ তলায় একা থাকার সুযোগে স্ত্রী মোবাইলে তার পরকীয়ার প্রেমিক আমার সহকর্মী শিক্ষক গোলাম রহমান কে ডেকে নেয়। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী বাড়ি ঘেরাও করে আমার নিকট মোবাইল করে। বাড়িতে লোক ঢুকেছে। এমন খবর পেয়ে আমি ২য় তলা হতে নিচে নেমে গেটের তালা খোলা দেখে তাৎক্ষনিক তাদের ঘরে দরজা খুলতে বললে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে সাথে থাকা স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ঘরে তালা আটকিয়ে ব্যাপক উত্তম মাধ্যম শুরু করে।
এর পর খবর পেয়ে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জী রাত অনুমান ৩টার সময় ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে রহস্যজনক কারনে মুচেলিকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। এভাবে অকপটে কথা গুলো বলছিলেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক জগোবন্ধু রায়। তিনি আরও বলেন আমি একজন শিক্ষক আর আমার সহকর্মী বন্ধু এমন কাজ করতে পারে সেটা ভাবতে অবাক লাগছে।
এ প্রসঙ্গে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জী সাংবাদিকদের বলেন আমাকে মিথ্যা বলে রাত তিনটার সময় জগোবন্ধু মাষ্টার লোক পাঠিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। যেয়ে দেখি গণপিটুনি দিয়ে শিক্ষক গোলামকে বেঁধে রেখেছে। প্রধান শিক্ষক জগোবন্ধুর কথার মত মানসম্মানের কথা চিন্তা করে মুচেলিকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক গোলাম রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাতক্ষীরা ডাক্তার দেখাতে গেছেন রিপোর্ট করার দরকার নেই, আমি ফিরে এসে দেখা করবো বলে তিনি জানান।
পরকীয়া প্রেমিকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার স্বামীর অক্ষমতাকে দোষারাপ করে বলেন কিছু করলে আতœাহত্যার হুমকি দেয়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।