স্পোর্টস ডেস্ক:
আগের দুই ম্যাচে বেশ দাপট দেখিয়েই জিতেছিল বাংলাদেশ। অনুমিত ছিল, তৃতীয় ম্যাচেও দাপটের সঙ্গেই খেলবে টাইগাররা। তবে সে ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছেন আইরিশ বোলাররা। বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে প্রথম ইনিংসে দাপট দেখিয়েছে আইরিশদের বোলিং ইউনিট। তবে শেষদিকে শামীম হোসেনের লড়াকু ইনিংসে কোনোমতে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই দুইশর বেশি রান করেছিল বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১২৪ রানে আটকে দিয়েছে আইরিশরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। পরের ওভারেই লিটনের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হ্যারি টেক্টবের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
চতুর্থ ওভারে আবারও উইকেট। এবার ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন রনি তালুকদার। পরিস্থিতি যখন বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছিল তখন উইকেট বিলিয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪১ রান।
দলীয় ৪১ রানের মাথায় ফেরেন তৌহিদ হৃদয়ও। উইকেটে এসে শুরুতেই ছয় মেরে ভালোকিছুর আভাস দিয়েছিলেন অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন। কিন্তু খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনিও। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ডানহাতি রিশাদকে ফেরান হাম্ফ্রেইস।
তাসকিনও ফেরেন একই ওভারে। ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। দশ ওভার শেষের আগেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দিশেহারা বাংলাদেশকে কিছুটা আলোর পথ দেখিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও শামীম হোসেন। অষ্টম উইকেটে দুজন মিলে এনেছেন ৩৩ রান। গ্যারেথ ডিলানির বলে স্টার্লিংয়ের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে নাসুম ফেরেন ১৩ রানে। শরিফুলও ফেরেন দ্রুতই, ৫ বলে ৫ রান করে।
এরপর লড়াইটা একাই চালিয়ে নেন শামীম। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৫১ রান করে থামেন তিনি। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মার্ক অ্যাডায়ার। ম্যাথু হাম্ফ্রেইস নিয়েছেন দুই উইকেট।