আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ: সদর উপজেলার ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুলের রাজনৈতিক চালে সর্বশান্ত ৭নং ওয়ার্ডের ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান। কালভার্ট নির্মানকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের নামে মামলা করার কারণে নিজ বাড়িতে রান্নাবান্না করার মত অবস্থা নেই হাবিবুরের পরিবারের। ২০১৯ সালে শহিদুল চেয়ারম্যান ব্রহ্মরাজপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ কর্মী হাবিবুরের জমির সীমানার মধ্যে দিয়ে অবৈধ ভাবে কালভার্ট নির্মান করে। তখন হাবিবুর শহিদুল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। বিজ্ঞ আদালত কালভার্ট নির্মান বন্ধ করার আদেশ দেয় যে মামলা চলমান। মামলা নং-পি ৮৭৯/১৯(সাতঃ) ধারা-১৪৫। তখন থেকে চেয়ারম্যান রাজনৈতিক চাল শুরু হাবিবুরের উপর। বিভিন্ন ভাবে হাবিবুর ও তার পরিবারকে হয়রানি করে আসছে চেয়ারম্যান শহিদুল। কালভার্ট করতে না পারায় ও মামলা চলামান থাকায় কালভার্ট না করে আদালতের হুকুম অমান্য করে ৩০/০৭/২১ তারিখ সকাল ৭টার সময় তফসিল জমি এসএ খতিয়ান নং-১৪৭৩, বিএস খতিয়ান নং-১৩৩০ সাবেক দাগ নং-৪৭৪০ হাল দাগ নং-৬৯৭৬ জমির পরিমান ৪৫ শতক। এই জমিতে পেশী শক্তি বলে প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। তারপর চেয়ারম্যানের লোকজন হাবিবুরের প্রাচিরের সীমানায় গভীর ড্রেন কাটতে থাকে। হাবিবুর বাঁধা দিলে মৃত বাবর আলীর ছেলে হযরত আলী (৩৫) ও মৃত খালেক গাজীর ছেলে আব্দুল আলীম বলে তারা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ড্রেন কাটছে। তাদের কাজে বাঁধা দিলে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে চেয়ারম্যান। হাবিবুর কোন উপায় না পেয়ে ছয়জন কে আসামি করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানা থেকে সুপাারিঘাটা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগটি পাঠানো হয়। ফাঁড়িতে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে ড্রেনের পানি বন্ধ করে দেন। পরে চেয়ারম্যান এসে পুলিশের সামনে জোর করে ড্রেনের পানি ছেড়ে দেয়। তিনদিন পরে ড্রেন কাটা শেষ হতে না হতেই হাবিবুরের প্রাচিরের সাথে থাকা চারটি ঘর পড়ে যায়। চারটি ঘরের মধ্যে রয়েছে একটি রান্নাঘর, দুটি গোয়ালঘর একটি কঠের ঘর। এবং মুল ঘরের সাথে সৌচাগারের প্রাচিরেও ফাটল ধরেছে।
এবিষয়ে হাবিবুর রহমান দৈনিক সাতনদীকে বলেন, আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন সদস্য। আমার ক্রমিক নং ৫৭২৪৫৭। বিশ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে আছি। আমাদের ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অত্যাচারে আমি ও আমার পরিবার সর্বশান্ত।
এবিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছাদুজ্জামান বাবুর কছে অভিযোগ জানালে তিনি আমাকে ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলিপ মাষ্টারের সাথে বিষয়টা অবহিত করতে বলেন। আমি নিলিপ মাষ্টারকে বললে দুই বছরেও কোন কাজ হয় নাই।
আওয়ামী লীগ কর্মী হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির কাছে আকুল আবেদন জানান তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
ড্রেন কাটায় কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে হাবিবুর বলেন ৪/৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি জনগণের স্বার্থে এটা করেছি। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ড্রেন কাটা হয়েছে।
এবিষয়ে এস আই তন্ময় জানান, ঘটনার দিন সংবাদ পেয়ে আমি ও আমার কয়েক জন সদস্য ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিবেশ শান্ত করে চলে আসি।