
রফিকুল ইসলাম: সাতক্ষীরা শহরের এক সংখ্যালঘু পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এমন কি ওই জমি জবর-দখলকারীর নামে লিখে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। শহরের বাইপাস সংলগ্ন পলাশপোল মৌজার উল্লেখিত জমি লিখে নিতে ব্যর্থ হয়ে মনি নামের এক মাদক সেবী ঐ জমিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মান শুরু করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে ঘুরে এর চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের ইটাগাছা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ দে জানান, পলাশপোল মৌজার এস.এ ১৬৪৫ নং খতিয়ানের(খারিজ মতে ১৬৪৫/১ ও ১৬৪৫/২) ১২৭৫৯ নম্বর দাগের ২০ শতক জমি হরিপদ দে ও তার বড় ভাই তুলশি কুমার দে ভোগদখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি ওই জমি থেকে ১২.৬০ শতক জমি শহরের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা ডাঃ রনজিত কুমার রায়ের কাছে বাজার মূল্যে বিক্রয় করেন। ডাঃ রণজিত রায়ের কাছে জমি বিক্রির ঘটনায় শহরের ইটাগাছা এলাকার মাজেদ গাজীর ছেলে মাদক সেবী মনি দালালীর ভূমিকা পালন করে। দালালীর ভূমিকা পালন করতে গিয়ে মনি ওই সংখ্যালঘু ভাইয়ের জমির সকল কাগজপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র আটকে রেখে তার নামে বাকি জমির একাংশ লিখে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ ঘটনায় হরিপদ দে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। জমি লিখে নিতে না পেরে মনি ওই জমিতে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় হরিপদ দে সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তার অধিনস্ত সাব-ইন্সপেক্টর কে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উল্লেখিত জমি তিনি খরিদ করেছেন। পরবর্তীতে বলেন, তিনি এই জমি খরিদ করবেন।