
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর গ্রামের মৃত-মোহাম্মদ এরশাদ সরদারের পৈত্রিক ভিটা জোরপূর্বক দখল নেওয়ার পায়তারা করে আসছেন লাদেন বাবু নামের এক সন্ত্রাসী। এছাড়াও এরশাদ সরদারের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাসের হুমকিও দিয়েছে সে।
ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায়, গত শনিবার আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকা সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার পাইপ, লাঠিসোটা নিয়ে অজ্ঞাত ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী সঙ্গে নিয়ে, সাতক্ষীরা শহরে মুনজিতপুর মৃত এরশাদ আলী সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়ির মহিলা-সহ মৃত এরশাদ আলী সরদারের ছেলেরা ও নাতনিরা আহত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা বলেন, কাউন্সিলরসহ এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিচার করে মাফ করে দেয়।
এ সময় সদর থানার অফিসার সঞ্জীব সাহেব ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং উভয় পক্ষকে একসাথে নিয়ে বসে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আশ্বাস দিয়েছেন এবং সেই পর্যন্ত উভয় পক্ষকে গাছ কাটা, পুকুরে পানি সেচকরা, মাছ ধরা যাতে না করে সে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে মৃত-মোহাম্মদ এরশাদ সরদারের পরিবারের সদস্যরা প্রাণনাসের হুমকিতে আছে। এরশাদ সরদারের পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাহায্য কামনা করেন।
২০১৩ সালে জামাত শিবিরের সরাসরি উস্কানিদাতা ও অর্থদাতা এই লাদেন বাবু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করে। এলাকায় রমরমা সুদের কারবার করে সে। এখন সে বিলুপ্ত ওলামা লীগের সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক দাবি করে জমি দখল করে বেড়াচ্ছে। ২০০৬ সালে এই ভূমিদস্যু লাদেন বাবুর মেজ ভাই অন্যের জমি দখল করতে যেয়ে মার্ডার হয় সদরের ধুলিহর কোমরপুর। ভূমিদস্যু লাদেন বাবু বেশ কিছুদিন আগে সুদের টাকা আদায় করতে যেয়ে গোলযোগে পড়ে।
এ বিষয়ে একাধিকবার লাদেন বাবুর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।