কিশোর কুমার: সাত ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার দরিদ্র পরিবারের সংসার। স্ত্রীও মারা গেছে ৬ বছর আগেই।বর্তমানে চলাফেরা করতে পারেনা বৃদ্ধ শিবপদ। মাথাও অনেকটা বিগড়ে গেছে। আয়েরও কোন পথ নেই তার। ছেলেদের পৃথক সংসার আর বিধবা দুই বোন থাকে তার। শতবর্ষী শিবপদ সরকার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাতপুর গ্রামের মৃত রাখাল চন্দ্র সরকারের ছেলে। এক সময়ে নিজ জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে কাজ করে ও ঝুঁড়ি ডালা বুনে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। কিন্তু বয়সের ভারে অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। তাই অনেকটা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে এই বৃদ্ধের। অথচ এখনও তার কপালে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। বেঁচে থাকার জন্য তিনি একটি বৃদ্ধ ভাতার কার্ড চান। এক সাক্ষাৎ করে অভিযোগ ছুঁড়ে বসে বৃদ্ধ শিবপদ সরকার ‘আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো? বর্তমানে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য শুধু একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড চান। তবে বেশ কয়েক বছর তার জাতীয় পরিচয়পত্রটি হারিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। সংসারে থাকা বিধবা বোন কৌশলী সরকার বলেন, দাদার বয়স একশ পার হয়ে গেছে প্রায় মাথাও ঠিক নেই। বসে বসে ভুল বকাবকি করে। তার কিছু জমি ছিল তাই দিয়ে সংসার চলত। জমাজমি ছেলে-মেয়েদের দিয়ে এখন তিনি প্রায় নি:স্ব। বর্তমানে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড হলে দাদার সাথে আমরা বিধবা দু’বোনও কোন রকম তিনবেলা খেয়ে পরে বাঁচতে পারতাম। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান গোলদার জানান, শিবপদ সরকারের ছেলে বয়স্ক ভাতা পান। এছাড়া শিবপদ সরকারের বিষয়টি নিয়ে আবেদন করা হয়েছে কিনা জানা নেই। তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন বলেন, ঐ বৃদ্ধ হয়তো আবেদন করেন নি। তবে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আওতায় আছেন। বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুমনা শারমিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।