জাতীয় ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মর্জিনা নামের মাদক কারবারির বাড়ির পাশ থেকে ২০ বছর বয়সী রায়হান নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওই মাদক কারবারির বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গাদতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত রায়হান দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের পাথরাইল-গাদতলা সড়কের পাশে স্থানীয় লোকজন একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশের পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিলো। স্থানীয়দের ধারণা, মাদক কিনতে এলে দর নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় মর্জিনার পরিবার ওই যুবককে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকেই মর্জিনার পরিবারের লোকজন পলাতক।
নিহতের পারিবার জানায়, রায়হান গতকাল শুক্রবার বিকেলে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে রায়হানের লাশ শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মর্জিনা একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাঝে মধ্যে পুলিশ তাকে আটক করে। আবার জামিনে বেড়িয়ে এসে তিনি মাদক কারবার শুরু করেন। গত ১০/১২ দিন আগেও মর্জিনাকে পুলিশ আটক করে। তার তিন ছেলে রয়েছে। তাদের নামেও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রায়হানের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতে মাদক সেবন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। লাশ দেখে উত্তেজিত লোকজন মর্জিনার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। মারা যাওয়া রায়হানের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মর্জিনা গত ১৫ দিন আগে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলখানায় রয়েছেন।