আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ: ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সোর্স পরিচয় ব্যবহার করে মৃত: শেখ আলমের ছেলে আসাদ ও পরিবার প্রকাশে করছে বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসা। কাজির আম বাগনের পাশে রাশেদ নামের এক ব্যক্তির থেকে দুই কাঠা জমি কিনে থাকতে শুরু করে। আর রাড়ির পাশে কাজির আম বাগানে চলতে থাকে গাঁজা, ফেনন্সিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা। আসাদও তার স্ত্রী নাসিমার নামে আছে হত্যা, জমি দখল ও মাদকের মামলা। কয়েক দিন আগে আসাদ ও তার স্ত্রী সেই হত্যা মামলায় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পয়।
মাদক ব্যবসা
একই এলাকার একজন মুদি ব্যবসায়ি বলেন, ঈদের কয়েক দিন আগে আবগারী পুলিশের একটি টিম এসে আমার কছে একটি স্বাক্ষর চায়। কিসের স্বাক্ষর জানতে চাইলে বলেন, আমরা প্রশাসনের লোক আসাদের বাড়িতে অভিযানে এসেছি তার একটি স্বাক্ষর। কিন্তু তাকে ধরতে পারেনি তারা।
মুদি দোকানের একজন মধ্যবয়সি নারী খরিদ্দার বলেন, করোনা কলে সাধারণ মানুষের কাজের সমস্যা। শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়ির পুরুষেরা বাইরে যায় না। এ সুযোগে হাতে কাছেই মাদক পেয়ে নষ্ট হচ্ছে বেশির ভাগ যুবকরা। তিনি আরও বলেন আমরা গরীব মানুষ অনেক কষ্ট করে ছেমেদের মানুষ করার চেষ্টা করছি কিন্তু গ্রামের ভিতরে প্রকাশ্যে এভাবে মাদক বিক্রি হলে আমাদের পরিশ্রম সব বিফলে যাবে। কারণ ছোট বেলা থেকেই যারা মাদকের ভিতর দিয়ে বেড়ে উঠবে তারা দেশ ও সমাজের কোন কজে আসবেনা। বিগত ২/৩ বছরে এ গ্রামে অধিক হারে মাদক সেবন ও ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েক বার পুলিশ এসেছে তার বাড়িতে। এলাকার সাধারণ লোক সবাই জানে।
রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, এঘটনা সবাই জানে আসাদের বাড়িতে ও বাড়ির পিছনে কাজির আম বাগানে মাদকের আসর বসে। এলাকার কোন লোক যদি কিছু বলতে যায় তার বিভিন্ন ধরনের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। সে বিভিন্ন সময় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সোর্স পরিচয় ব্যবহার করে। গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের চাপে রাখে।
আবগারী পুলিশের এস আই বিজয় কুমার বলেন, কিছুদিন আগে আমরা আসাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার বাড়ি থেকে আমরা গাঁজা উদ্ধার করি কিন্তু তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে আমরা একটি মাদক মামলা দায়ের করি।
লাবসার ৬নং ওয়ার্ডে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক
পূর্ববর্তী পোস্ট