স্পোর্টস ডেস্ক:
দেশ ঋণে জর্জরিত, যাচ্ছে আর্থিক মন্দার মধ্য দিয়ে। এর মাঝেই রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। ২০২২ সালে ৬৩০ কোটি রুপি নিট লাভ হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। যার মধ্যে প্রায় আড়াইশ কোটি রুপি জাতীয় স্পোর্টস ফান্ড, সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যখাতে অনুদান দিয়েছে সংস্থাটি। শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ থেমেছে দীর্ঘদিন হলো। কিন্তু ২০২২-এর পুরোটাই নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে দেশটি। এত সমস্যার মধ্যেও ক্রীড়া ক্ষেত্রে ঠিকই সফল ছিল শ্রীলঙ্কা, যা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত।
২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের নিট লাভ হয় ২১০ কোটি রুপি। এক বছরের ব্যবধানে লাভের অঙ্কটা তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩০ কোটি রুপিতে, যা দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুনাফার রেকর্ড। মার্কিন ডলারে যার পরিমাণ প্রায় পৌনে দুই কোটি। মূলত নিজেদের মাঠে আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন, ঘরোয়া লিগ, স্পন্সর ও আইসিসি-এসিসির লভ্যাংশের অংশ থেকেই এ আয় হয়েছে এসএলসির। গেল বছর এশিয়া কাপেরও আয়োজক ছিল লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। যদিও নিরাপত্তা ইস্যুতে আসর অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
বিপুল পরিমাণ এই লাভের সবটাই নিজেদের কোষাগারে জমা রাখেনি এসএলসি। বড় একটা অঙ্ক দিয়েছে অনুদান হিসেবে। সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের বরাদ্দ ছিল ১২০ কোটি রুপি। ৯০ কোটি রুপি জাতীয় স্বাস্থ্যখাত ও প্রায় ২৮ কোটি রুপি জাতীয় স্পোর্টস ফান্ডে অনুদান দিয়েছে সংস্থাটি।
এর বাইরে ক্রিকেটের উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগও করেছে এসএলসি। ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন, হাই পারফরম্যান্স সেন্টার পরিচালনা ও স্কুল ক্রিকেটের জন্য তাদের খরচ হয়েছে ২২৭ কোটি রুপি। দেশে আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন ও জাতীয় থেকে সব পর্যায়ের দল পরিচালনা, সিরিজ আয়োজনে তাদের খরচ হয় ৪২০ কোটি রুপি। জেলা ও প্রাদেশিক অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে অনুদান দেয়া হয় ৬০ কোটি রুপি। গেল বছর সংকটের মধ্যেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে আতিথেয়তা দেয় এসএলসি। তিন ফরম্যাটে ১০টি ম্যাচ খেলে অজিরা। সেই সিরিজ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আয় করেছে এসএলসি। একই বছর পাকিস্তানও অজিদের হোস্ট করে প্রায় ২০০ কোটি রুপি আয় করে।