জাতীয় ডেস্ক:
৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গভবনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো আব্দুল হামিদ এবং তার পত্নী রাশিদা খানম।
রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ রাষ্ট্রীয় অতিথিদের আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয় বঙ্গভবনের লন। রাষ্ট্রপতি এবং তার পত্নী অনুষ্ঠানে যোগ দেবার পর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর তারা জাতীয় দিবসের কেক কাটেন এবং উপস্থিত অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ ছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাস এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করবেন শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রন্টি দাস। তিনি দুটি গান করবেন এর মধ্যে একটি হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখা, অন্যটি নজরুল সংগীত।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানটির শিরোনাম হচ্ছে ‘মুজিব বাংলাদেশ’। গানটির কথা লিখেছেন রন্টি দাস নিজেই। এর সুর করেছেন সাইদ রহমান। সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন কল্যাণ।
এর আগে ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা দিবসের এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
৫১ সেকেন্ডের শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি। বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট দেশ।
মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ পেয়েছি।
অডিও-ভিজ্যুয়াল বার্তাটি দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়েছে এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
এরপর সকাল সোয়া ৭টার দিকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।