আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সেন্ট পিটার্সবুর্গ শহর থেকে বাল্টিক সাগর উপকূলীয় রাশিয়ার ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে উড়ে যাচ্ছিল রুশ আইএল-৭৮ মিডাস রিফুয়েলিং বিমানটি।

এস্তোনিয়ার আকাশসীমার কাছে রাশিয়ার একটি বিমানকে বাধা দিয়েছে ব্রিটিশ ও জার্মানির দুটি জঙ্গি বিমান।

সেন্ট পিটার্সবুর্গ শহর থেকে বাল্টিক সাগর উপকূলীয় রাশিয়ার ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে উড়ে যাওয়ার সময় আইএল-৭৮ মিডাস রিফুয়েলিং বিমানটির দিকে তেড়ে যায় ইউরোফাইটার টাইফুন জঙ্গি বিমান দুটি।

রাশিয়ার মিডাস বিমানটি এস্তোনিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়েছিল বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ব্রিটিশ ও জার্মানির বিমান বাহিনী এখন ওই অঞ্চলে নেটো পরিকল্পিত এয়ার পুলিশিং অভিযান পরিচালনা করছে। নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তারা বাধা দেওয়ার এই কাজটি করলেও এই প্রথমবারের মতো দুই দেশ একত্রে এমন অভিযান চালিয়েছে।

ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে চলা উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার কৃষ্ণ সাগরের আকাশে রাশিয়ার জঙ্গি বিমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর ড্রোনটি ভেঙ্গে সাগরে পড়ে গেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এসব নিয়ে চলা প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার প্রতিবেশী এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ বিমানটিকে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটল। তবে দুটি ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মিডাসটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর টাইফুন দুটিকে এস্তোনিয়ার আকাশসীমার কাছ দিয়ে যাওয়া একটি আন্তোনোভ-১৪৮ উড়োজাহাজকে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তখন তারা সেদিকে উড়ে যায়।

এই টাইফুন জঙ্গি বিমান দুটি ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর (আরএএফ) ১৪০ এক্সপিডিশনারি এয়ার উইং এবং জার্মানির ৭১ ট্যাকটিক্যাল এয়ার উইং রিচথোফেনের অংশ।

এপ্রিলে জার্মানির বিমান বাহিনীর কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা নেটোর বাল্টিক এয়ার পুলিশিং মিশনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আরএএফ। দায়িত্ব নেওয়ার পর চার মাস এই মিশনের নেতৃত্ব দেবে ব্রিটিশরা। তার আগ পর্যন্ত ওই অঞ্চলের আকাশে ব্রিটিশ-জার্মান যৌথ টহল অব্যাহত থাকবে।