আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিন দিনের রাষ্টীয় সফরে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। সোমবার (২০ মার্চ) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ভনুকোভা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় ১২টা ৫৯ মিনিটে পৌঁছান শি জিনপিং। বিকেলে পুতিনের সঙ্গে অনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে দুই নেতা একসঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দরের রানওয়েতে সাংবাদিকদের শি জিনপিং বলেন, রাশিয়ায় তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘নতুন গতি’ দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এই সফর ফলপ্রসূ হবে এবং চীন-রাশিয়ান সম্পর্কে সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়নে নতুন গতি দেবে। এছাড়া রাশিয়াকে ‘ভালো প্রতিবেশী’ ও ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন শি জিনপিং।
এদিকে দুই পরাশক্তি দেশের নেতার বৈঠক ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। প্রশ্ন উঠছে পুতিন-শির আলোচনার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে কোনো অগ্রগতি হবে কিনা? ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধে শি জিনপিং আদৌ রাজি করাতে পারবেন কিনা?
অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জেরে বেইজিংয়ের প্রতি প্রত্যাশা বেড়েছে। বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে চীনা প্রেসিডেন্টের দিকে। শুধু ইউক্রেন যুদ্ধই নয়, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা মস্কোর প্রতি বেইজিং এ’র অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনবে কিনা তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
পুতিন-শির আলোচনা ঘিরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি জানান, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীনের প্রেসিডেন্ট যদি পুতিনকে রাজি করাতে পারেন, তাহলে সেটি হবে অগ্রহণযোগ্য। তার মতে, এতে করে রাশিয়া নিজেদের আরও শক্তিশালী করে তোলার যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পাবে।
জন কারবি বলেন, এ বৈঠকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আগেও বলেছি, প্রেসিডেন্ট শি’র উচিত প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করা। ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চীনের চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।
শি’র এই সফর ঘিরে গভীর উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, চীন কোনোভাবেই রাশিয়ার কর্মকাণ্ডে নিন্দা জানাবে না। বরং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার জেরে মস্কোকে আরও আর্থিক সহায়তা দেবে।