রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া ঝরের তান্ডবে তিনটি গ্রামের অর্ধ শতাধীক বাড়ি-ঘর লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। ধ্বসে পরেছে কয়েকটি মাটির বাড়ী। এসময় বাড়ীর তালার উপরে রাখা ধানও উড়ে গেছে। তাল গাছের মাথাসহ ভেঙ্গে পরেছে গাছপালা। উপজেলার পারইল ইউনিয়নের সংকরপুর,হারাইল ও কামতা গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ইতি মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারী সহায়তার আশ্ব্বাস দিয়েছেন স্থানীয় প্রসাশন।
স্থানীয় সত্রে জানাগেছে,বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টা নাগাদ হঠাৎ করেই প্রচন্ড ঝর-বৃষ্টি শুরম্ন হয়। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী চলা এই ঝরে উপজেলার সংকরপুর,হারাইল ও কামতা গ্রামে অর্ধশতাধীক বাড়ি ঘরের ছাউনি উড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। এসময় ঝরের তান্ডবে একটি তাল গাছের মাথাসহ ভেঙ্গে পরেছে বেশ কিছু গাছপালা। এতে খোলা আকাশের নিচে সারা রাতযাপন করেন ক্ষতিগ্রস্তরা ।
হারাইল গ্রামের জয়ন্ত্ম কুমার জানান,ওই গ্রামের প্রায় ৪০/৪৫টি বাড়ীর ছাউনি উরে গেছে। এছাড়া দুইটি বাড়ি ধ্বসে পরেছে। ওই গ্রামের পরেশ চন্দ্র জানান,তার বাড়ীর তালার উপরে রাখা প্রায় ১০মন ধান উরে গেছে। এছাড়া অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পরেছে।
সংকরপুর গ্রামের আঞ্জুয়ারা জানান,ঝরের তান্ডবে তার ৭টি ঘরসহ প্রায় ৮টি বাড়ীর ছাউনি উরে গেছে। ছোট সন্ত্মান ও পরিবারের লোকজন নিয়ে অন্যের বাড়ীর বারান্দায় রাত যাপন করতে হয়েছে। তিনি দ্রম্নত সরকারী সহায়তা কামনা করেছেন। গ্রামপুলিশ কামতা গ্রামের মানিকচাঁন জানান,এমনভাবে বাড়ীর ছাউনি উড়ে গেছে যে,মাথা লুকানোর জায়গা নেই। এখনই বৃষ্টি আসলে স্ত্রী সন্ত্মান নিয়ে অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে হবে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মিজানুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তার মতে,ওই তিন গ্রামে প্রায় এক কোটি টাকার উপর ক্ষতি হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্রম্নত সরকারী সহায়তা কামনা করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্ত্মবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার কাজ চলছে। তালিকা হাতে পেলেই সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন,ঝরের তান্ডবে বেশ কিছু বাড়ী-ঘর ও গাছ পালার ক্ষতি হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে দ্রম্নত সহায়তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।