আতিয়ার রহমান, মণিরামপুর (যশোর): ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’- এই যশ মূলত যশোরের রাজগঞ্জে খেজুরের গুড়ের কারণে। সেই খেজুরের গুড় এখন প্লাস্টিকর ড্রামভর্তি হয়ে চলে যাচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা ছুটে আসে এখানে গুড় কিনতে। তারা স্থানীয় বাজার ঘুরে হাজার হাজার (ঠিলে) গুড় কেনে, সেগুলো ড্রামে ভরে নিয়ে যান নিজ এলাকায়। একই প্রক্রিয়ায় এ উপজেলার গুড় যাচ্ছে বিদেশেও। জানা গেছে- প্রতি সপ্তাহে দুইদিন উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের গুড় হাট বসে। এসব হাটে গুড় বেচাকেনা বিকালের মধ্যে শেষ হয়ে যায়।
এমনকি গুড়ের বাজার ধরতে ব্যাপারীরা হাটবারের আগের দিন এসে এলাকায় জড়ো হয়ে হয়। দেখতে দেখতে হাজির হয় পাইকারি ব্যাপারীর দল। প্রতিটি তরল গুড়ের ভাঁড় ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা ও শুকনো গুড়ের বড় ভাঁড় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। কিন্তু এখন বর্তমানে দাম কিছুটা কম। সোমবার রাজগঞ্জ হাটে দেখা গেছে- প্রতি ভাঁড় গুড়ের দাম ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ব্যাপারীরা গুড়ের ভাঁড় কিনে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রেখেছে। কেনাবেচা শেষে ব্যাপারীরা সব ভাঁড় থেকে গুড় ঢেলে ড্রাম ভর্তি করে অনায়াসে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এরপর এসব গুড় দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু পথিমধ্যে রাস্তা ভাঙাচুরা হওয়ায় ভ্যান উল্টে কিংবা ঝাঁকুনিতে গুড়ের ভাঁড় ভেঙে নষ্ট হয়ে যেত। তাই এখন আমরা গুড় নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য সঙ্গে করে প্লাস্টিকের ড্রাম নিয়ে আসি। যাতে ড্রামে করে নিশ্চিন্তে পিকআপ কিংবা ট্রাক গাড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যেতে পারি।