জাতীয় ডেস্ক:
রাঙামাটিতে সড়কের পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ। শহরে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি কোতয়ালী থানার কর্মকর্তা মো. আরিফুর আমিন। তিনি বলেন, সড়কে সড়কে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলোতে যুবকদের আড্ডা ও মাদক সেবন নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে রাঙামাটি শহরের কোর্ট বিল্ডিং বনরূপা ও ফরেস্ট কলোনি এলাকার অবৈধস্থাপনাগুলো। যারা এ স্থাপনা নির্মাণ করেছে তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থাপনা সরিয়ে নিতে। নয়তো পুলিশ নিজেই সে স্থাপনা উচ্ছেদ করবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জান গেছে, সম্প্রতি রাঙামাটি শহরের বনরূপা ফরেস্ট কলোনি এলাকায় টাকা ধার দেওয়া ও মাদক সেবনের কারণে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়েচরে বসেছে প্রশাসন। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে কিশোর গ্যাং ও যুবকদের আড্ডা স্থানগুলোতে। সন্ধ্যা ৬টার পর বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে নির্জন সড়কের ভাসমান দোকান। এছাড়া দলবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার পর আড্ডাবাজিও উপর নজর রয়েছে পুলিশের।
অভিযোগ রয়েছে, অদৃশ্য কারণে সরানো যাচ্ছে রাঙামাটি শহরের বনরূপা ফরেস্ট কলোনি কবরস্থান সড়কের ভাসমান অবৈধ স্থাপনাগুলো। যদিও ওই এলাকায় এরই মধ্যে ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনা। ঘটেছে হত্যাসহ নানা অপরাধ। তবুও জমজমা রয়েছে এসব দোকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কবরস্থানে ওয়াল ঘেসে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে একদিকে কবরস্থানের পবিত্রা নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে আড্ডা বেড়েছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের। সুযোগ নিচ্ছে মাদকসেবীরাও। রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগ ও প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় সময় এ অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও স্থায়ীভাবে কোন সমাধান আসেনি। উচ্ছেদের কিছুদিন পর আবারও তৈরি হয় নতুন নতুন স্থাপনা। এতে মারাত্মক বিপাকে পরেছে স্থানীয়সহ বিদ্যালয়, কলেজগামি শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি রাঙামাটির স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. মীর আবু তৌহিদ জানান, রাঙামাটিতে যারা অপরাধ করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাই অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে বিশেষ স্থানগুলো চিহ্নিত করে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জোরদার করা হয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা। এছাড়া পাড়া ও মহল্লায় কিশোর- যুবকদের গ্রুপিং গ্যাংগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। অযথা বাইরে আড্ডবাজি করা যাবেনা। সন্ধ্যার পর কিংবা মধ্যে রাতে যাকেই বাইরে অযথা আড্ডা দিকে দেখা যাবে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। একই সাথে অবৈধ মোটরসাইকেল চালকদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে। বেপরোয়া যুবকদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। রাঙামাটিবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশ সব সময় সজাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।