সাতনদী ডেস্ক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকায় কাশফুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছাত্র বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে ভুক্তভোগীর ছাত্ররা মামলা দ্বায়ের করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হাফেজ বদরুজ্জামান। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক জানান, গত চার বছর আগে রসুলপুর এলাকায় প্রবাসী রফিকুর রহমান এর নিকট থেকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানাটির পথচলা শুরু করি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মাদ্রাসাটি দাঁড় করিয়েছে। উক্ত মাদ্রাসা ও এতিমখানাটিতে এখন ০৬ জন এতিম সহ প্রায় ৪০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। আমি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে আর্থিক অনুদান এনে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছি। এতে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে চতুরমুখী ষড়যন্ত্র করে আসছে। গতবছরের একদিন মাদ্রাসা ছুটির পর দুটি ছাত্র রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় একে অপরের পাঞ্জাবি ধরে টানাটানির একপর্যায়ে একজনের পাঞ্জাবি ছিড়ে গেলে আমি গিয়ে তাদের বকাবকি করি। সে সময়ে বিষয়টি কয়েকজন অতি উৎসায়ী অভিভাবক বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকার কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তির হস্তক্ষেপে বিষয়টি বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেনি। তারই অংশ হিসাবে বিগত কয়েকদিন আগে অত্র মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী লেপের ভিতরে অনৈতিক কর্মকান্ড করছিল পরেরদিন আমি বিষয়টি সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে জানতে পেরে তাদেরকে সতর্ক করি ও দুই একটি চড় থাপ্পড় মারি যেন তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকে। এর পরে ঐ দুই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তাদের বকাবকির বিষয়টি অভিভাবকদের অবগত করলে অভিভাবকরা বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিয়ে আমাকে প্রতিহিংসামূলক সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে এবং অত্র মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। স্থানীয়রা জানান, ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্রদের যৌন নিপিড়ন করত বলে শুনেছি। তবে চোখে দেখিনি । আজ যেটা ঘটে গেল তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি একই এলাকার বজলুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাফেজ মোঃ বদরুজ্জামান একজন ভালো ছেলে। তার বিরুদ্ধে এযাবৎ এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় একটি মসজিদে সুনামের সাথে খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের কাছে জোর দাবী জানান তিনি। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্তকর্মতা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান,এই ঘটনায় থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। মামলা নং—২১। মামলার আসামীকে গ্রেপ্তারের চোষ্টা চলছে।