আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের নাটুয়ারবেড় গ্রামে মুজিব বর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মোঃ তফর সরদারের ছেলে গফফার সরদারের পরিবারকে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা চালাচ্ছে ইউনিয়ন ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বক্তব্য ভিন্ন। তিনি বলেন, আমরা তাদের বসত ঘর ভেঙে দেইনি। জানা গেছে, রতনপুর ইউনিয়নের নাটুয়ারবেড় গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মুজিববর্ষের উপহার ভ‚মিহীন-গৃহহীন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ হচ্ছে, এখানে বসত ভিটা রয়েছে যাদের তাদেরকে উচ্ছেদ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের কর্মকর্তা। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রতনপুর ইউনিয়নের নাট্ুুয়ারবেড় গ্রামের তফর সরদারের ছোট ছেলে গফফার সরদার শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তার তিন সন্তান এর মধ্যে দুই সন্তান প্রতিবন্ধী! ছেলেটা শারীরিক ও মানষীক প্রতিবন্ধী, বড় মেয়েটা মানষীক প্রতিবন্ধী সরকারি কিছু সুযোগ সুবিধা পেলেও তাদের বসতি উচ্ছেদ করে দিলে নিরুপায় হয়ে যাবে পরিবারটি। দুই প্রতিবন্ধীসহ তিন সন্তান নিয়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। মাথাগোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিতে চাই ভ‚মি অফিসের নায়েব অভিযোগ ভুক্তভোগী আব্দুল গফফার ও তার পরিবারের। ইউএনও বলছেন তাদের ঘর নিজেরা ভেঙে নিলে একটি ঘর দেওয়া হবে।
গফফারের পরিবারের প্রশ্ন হচ্ছে আমার তিন সন্তানসহ ৫ জন একটি ঘরে কিভাবে বসাবস করবো? ইউএনও'র সামনে গত মঙ্গলবার ভ‚মি অফিসের লোকজন রান্না করা অবস্থায় রান্না ঘর জোরপ‚র্বক ভেঙে দিয়েছে! কোথায় যাবে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না পরিবারটি৷ পরিবারটি আর্থিক সংকট থাকায় আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছে না তারা। এই সুযোগে একটি কুচক্রী মহল প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে এখানে আশ্রয়ন প্রকল্প করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, উক্ত প্রকল্পের কিছু ঘর কতিপয় ব্যক্তিদের পাইয়ে দিতে একটি দালাল চক্র সক্রীয় হয়ে উঠেছে। মোটা অংকের টাকা অর্থ বানিজ্যের রফাদফার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। উক্ত টাকাগুলো পাওয়ার আসায় ও নেশায় বসত ভিটা উচ্ছেদ করে সরকারি ঘর নির্মাণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স‚ত্রে জানা গেছে। এছাড়া পরিবেশ ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ওই পরিবারের লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো কেটে সাবাড় করে দিয়েছে ভ‚মি অফিসের লোকজন। তাছাড়া একটি রান্না করা ঘর ভেঙে দিয়েছে। আব্দুল গফফারের দাবি তাদেরকে মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেবে বলে সামনের জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছে। এখন ভ‚মি অফিসের নায়েব অন্য কথা বলছেন! আব্দুল গফফার সরদার খুলনার রিকশা চালাতে গিয়েছেন। তিনি এই প্রতিবেদকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, আমার বসত ভিটা যেনো উচ্ছেদ না করে সেই দাবি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে। ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার ভ‚মি মোশাররফ হোসেন এই প্রতিবেদকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আপনি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা, তাদের রান্না ঘর নিজেরাই ভেঙে নিয়েছে। এই বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার।