নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০ অক্টোবর ৬ষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজার আগমন ঘটবে। তাই সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঝাউডাঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডবে চলছে সাজ সাজ রব। সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের সবচেয় বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয় দেশের অন্য ধর্মের মানুষও এ উৎসবে অন্তভুক্ত হন নানাভাবে। আগামী ২০ অক্টোবর ৬ষ্টী তিথিতে দেবীদূর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপি দূর্গোৎসব। আর মাত্র কয়টা দিন বাকী তাই সারা দেশের ন্যায় ঝাউডাঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে এবং প্রতিমালয় গুলোতে চলছে দেবী প্রতিমা গড়ে তোলার রং তুলির শেষ আঁচড়ের ধুম। অনেক আগেই ইউনিয়নের ১৭ টি স্থানে দেবীর মূল অবয়ব গড়ে তোলা হয়েছে। এখন শেষ পর্যায়ে চলছে রং তুলির কাজ। মাটির প্রলেপ শেষে তাই মাতৃ রুপকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুটিয়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয় প্রতিমা শিল্পী বা ভাস্করকে। কেননা পরম শ্রদ্ধা, আগ্রহ আর ভক্তিতে হাতের পরম আর তুলির আঁচড়ে মাটির মূর্ত হয়ে উঠেন দেবী। তাই এখন বলা চলে গুরু দ্বায়িত্বের কারনে দম ফেলার ফুরসুরত নাই প্রতিমা কারিগরদের। রবিবার ইউনিয়নের হাজিপুর,হাচিমপুর রাজবাড়ী, যোগরাজপুর,আখড়াখোলা, দেবনগরসহ বিভিন্ন সার্বজনীন পূজা মন্ডপে ঘুরে দেখা গেছে প্রতিমা নিমার্ণে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পরা। এর মধ্যে সরকার পাড়ার শিল্পী দিলীপ কুমার তার নরম হাতের রং তুলির আঁচড়ে মাটির মৃর্ত্যকে পূর্নাঙ্গ দেবীতে রুপান্তর করেছে। এ বছর ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৭টি স্থানে দূর্গোৎসব উৎযাপিত হবে। এর মধ্যে কোনটিতে কোন ঝুঁকি নেই। বলে জানিয়েছেন হাজিপুর দেলপোতা পুজা কমিটির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ ঘোষ। এ বছর ১৭টি পূজা মন্ডপের মধ্যে হাজিপুর দেলপোতায় ১০১ খানা প্রতিমা তৈরি জেলার শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করেন আয়োজকরা।