নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছায় গৃহবধু ফারজানা (২০) কে বেধরক মারপিট ও জোরপূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগি ফারজানা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। সূত্রে জানা গেছে, গত ১লা আগস্ট সকাল ১০টায় ইটাগাছা আহলে হাদিস মসজিদের সামনে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন বাপ্পি ভাড়াটে বাসায় তার স্ত্রী ফারজানাকে ডিসকভার মোটরসাইকেলের দাবীতে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর সে সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকে। এসময় দুজন ভ্যান চালক মেয়েটিকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে তারা চলে যায়। একপর্যায় স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী রোজি আপাকে জানালে তিনি মেয়েটিকে তাৎক্ষণিক বাড়িতে নিয়ে আশ্রয় দেয়। বাড়িতে তার শিশু মেয়ে থাকায় ২ আগস্ট সকালে ফারজানা আবার তার স্বামীর বাড়িতে যায়। এসময় তার স্বামী সালাউদ্দিন বাপ্পিসহ তার সহযোগি ৪/৫ জন তাকে পুনরায় মারপিট করে জোরপূর্কক কাজী অফিসে নিয়ে তালাক নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী ফারজানা জানান, এরআগেও একাধিকবার আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেছে। বহুবার স্থানীয়রা মিমাংশাও করে দিয়েছে। বর্তমানে সে ডিসকভার মটরসাইকেলের দাবীতে আমাকে প্রায় মারধর করে। আমার পিতা সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মারা যায়। আমার মা স্থানীয় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চলছে। এঅবস্থায় মটরসাইকেল দেওয়া আমার মায়ের পক্ষে সম্ভব না। তারপরেও প্রতিনিয়ত আমাকে মারধর করে যাচ্ছে। এরআগেও সে ৪টা বিয়ে করেছিল, তাদেরও মারধর করে তালাক দিয়ে দেয়। আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, দেনমোহরের কোন টাকা না দিয়ে তোকেও তালাক দিবো। স্থানীয় কাজী ইসহাক জানান, গতকাল (২ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে সালাউদ্দিন বাপ্পিসহ ৪/৫ এসে একটি তালাক নামা সম্পন্ন করে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এ বিষয়টি সমাধানে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, সমাধান না হলে রোববার আদালতে মামলা করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।