জাহাঙ্গীর হোসেন, কলারোয়া: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাছবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া আলীয়া মাদ্রাসা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতক্ষীরা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস যশোরের উদ্দেশে যাচ্ছিলো। এ সময় যশোর থেকে মাছ নিয়ে একটি পিকআপ সাতক্ষীরা দিকে যাচ্ছিলো। গাড়ি দুটি কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসা মোড়ে এলে যাত্রীবাহী বাস টি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছ বাহি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে একটি স্টিল ও কাচের দোকানের ভেতর ঢুকে যায় যাত্রীবাহী বাস টি। এসময় দুজন মোটরসাইকেল আরোহী এই দুর্ঘটনার শিকার হন। তাঁরাও গুরুতরভাবে আহত হন। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। মাছবাহী পিকাপে থাকা হাবিবুর বলেন, আমরা যশোর থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের চারা মাছ নিয়ে মৌতলা বাজারে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সামনে থেকে আসা একটি বাস আমাদের পিকআপের সামনে এসে মেরে দেয়। পিকাপে থাকা সব মাছ মারা গেছে। আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। আমার ভাইয়ের অবস্থা খুব খারাপ তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি আর কিছু বলতে পারছিনা।
দোকান মালিক ইদ্রিস আলী বলেন, যাত্রীবাহী বাসে অনেক গতি ছিলো। ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে পিকআপ ভ্যানে আঘাত করে এবং পরে সোজা আমার দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। আমার দোকানের অনেক মালামাল নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার অপু মিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ও পুলিশ যৌথ ভাবে আহতদের উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (টি এইচ ও) ডাঃ মোঃ মাহবুবর রহমান সান্টু বলেন, আমরা আহত প্রায় ২০ এর অধিক মানুষকে চিকিৎসা দিয়েছি। দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন তাই তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে যারা এখানে ভর্তি আছেন সকলে আশঙ্কা মুক্ত।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিরউদ্দীন মৃধা বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হলেও কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও আহতদের খোঁজ খবর নেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রুলি বিশ্বাস।