নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা পরিষদের একজন সদস্যার আশ্বাসে সর্বশান্ত কিছু দিন মুজুর পরিবার। ৪০ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে দীর্ঘ দিন হলেও মেলেনি জেলা পরিষদ কতৃক ঘর। অন্যদিকে দিন দিন বেড়ে চলছে পরিবারগুলোর মাঝে সুদের বোঝা। মিথ্যা আশ্বাসের বুলি থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধীও বাদ পড়েনি ঘর পাওয়ার আশায় টাকা দেয়া থেকে।
স¤প্রতি জেলা পরিষদের মেয়াদ হঠাৎ করে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শেষ হলে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের মাঝে নেমে আসে হতাশা। সূত্রে জানতে পেরে মনিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী গ্রামে গিয়ে জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের রুপসপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী যশোর জেলা পরিষদের নারী সদস্য রোকসানা ইয়াসমিন পান্না জেলা পরিষদের কতৃক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে যাদের নামে ৯ শতাংশের নিচে জমি আছে তাদেরকে আধা পাকা দুই রুম বিশিষ্ট একটি করে ঘর দেওয়ার নামে একাধিক অসহায় পরিবারের থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন দীর্ঘ এক থেকে দেড় বছর আগে।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী আঃ হামিদের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান পান্না মেম্বার এসে জেলা পরিষদের ঘর দেয়ার নামে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে এখন আর যোগাযোগ করে না। প্রতিবন্ধী মানুষের থেকে টাকা নিয়ে আজ এক দেড় বছর আশায় দিয়ে চলেছে।কথা হয় গোয়ালবাড়ী গ্রামের ময়না খাতুনের সাথে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে দেড় বছর ঘুরে ঘুরে এখব ক্লান হয়ে পড়েছে কিন্তু ঘর বা টাকাও ফেরত পেলো না বলে প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিচার দিয়ে কান্না শুরু করেন। কথা হয় অত্র গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে। তিনি জানান, পান্না মেম্বার মসজিদের বিদ্যুৎ আনার নামেও নিয়েছে টাকা এছাড়াও ঘর দেওয়ার নাম গোয়ালবাড়ী গ্রামের হামিদ, ময়না, রহিমা,জাহাঙ্গীর, ছাড়াও একাধিক অসহায় পরিবারের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে আজ পর্যন্ত ঘর বা টাকা ফেরত না দিয়ে নতুন করে আবারও টাকা দাবি করছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য রোকসানা ইয়াসমিনের নিকট কথা হলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে টাকাটা ঘর নিতে উপর মহলে দিয়েছেন বলে জানান। উপর মহলে কারা টাকা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করতে থাকেন প্রতিবেদক কোথায় এই তথ্য পেয়েছে এবং তথ্যদাতার নাম জানার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তবে তিনি কোন অবস্থাতেও উপর মহলের টাকা প্রদানের ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করে ধীরে ধীরে বিষয়ট এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।তবে গোয়ালবাড়ী নয় ঝিকরগাছা উপজেলা থেকেও নিয়েছেন স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা।