নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর: যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষ্যে এ পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন গুলো যশোর শহরের জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছিলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘শহরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, মেহেদী হাসান মিন্টু'র ব্যানার ফেস্টুন ঠিক থাকলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মঈনুল আলম টুলু, যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ জাহিদ হোসেন মিলন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির শিপলু, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন রাজিব, শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল পর্বত, শহর যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি ইজ্জাক, শহর যুবলীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন টিটোর শোক দিবসের ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।‘ এমন অবস্থায় যশোর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যেকোনো সময় সংঘাতের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক, যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু জানান, আগস্ট মাস শোকের মাস,শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষ্যে যশোর শহরে যশোর সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের কয়েকটি গেট করা হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে জঘন্যতম কাজ করেছে। যারা এই কাজে লিপ্ত ছিলো তারা সবাই আগে তরিকুল ইসলামের ক্যাডার ছিলো, এখন তারা যশোরের এক জনপ্রতিনিধির ক্যাডার হিসেবে কাজ করে।
৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন জানান আগস্টের এই শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত ফেস্টুন ছিঁড়ে শান্ত যশোরকে অশান্ত করার জন্য একটি পক্ষ এমন কাজ করছে।
যশোরে শোক দিবসের ফেস্টুন ছেঁড়া নিয়ে যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আরা মিলি' জানান তার নিজের ফেস্টুন যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলে ফেলা হয়েছে।