নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউপি নির্বাচনে জয় লাভ না করায় ও পূর্ব পারিবারিক শত্রæতার জেরে গাবুরার ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার এম আবিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ¯øুইচ গেটের খালাসীদের ঘর ৫০ লক্ষ টাকা বিক্রির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালে পরিত্যাক্ত ও ঝুঁকিপূর্ন ¯øুইচ গেটের খালাসীদের ঘর ভেঙে চাপা পড়ে একটি ছাগল মারা যায়। পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার শিশুরা ওই ভবনে বিভিন্ন সময় খেলা করায় তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তৎকালীন গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আযম টিটু ও স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ভবনটি অপসারন করেন। ভবনের পাশের একটি পুকুরে সে ঘরটি ভেঙে পড়ে। পরে পুকুরটি ভরাটের উদ্যোগ নেন চেয়ারম্যান আলী আযম টিটু। কিন্তু তার দুই মাস পর চেয়ারম্যান আলী আযম টিটু ইন্তেকাল করেন। তার ইন্তেকালের পর তারই বরাদ্দ করা অর্থে সেই পুকুর ভরা হয়। পুরাতন ঘরের ব্যবহারযোগ্য ইট মাদ্রাসার হেফাজতে রাখা হয়। যা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনেই রাখা হয়েছে। এছাড়াও মেম্বার এম আবিয়ারের নামে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, পুকুরটি ভরাট করে সেখানে মার্কেট নির্মান করা হয়েছে যা আদৌ সত্য নয়। অন্যদিকে এম আবিয়ার রহমানের ছোট ভাই আবুজর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তার চাকরি নষ্ট করতে তার নামও ওসব অভিযোগে করা হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় মসজিদের ক্যাশিয়ার আব্দুর রহমান জানান, ৪০ বছরের অধীককাল ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ভবনটি ছিলো। কিন্তু এর ছাদ ধ্বসে একটি ছাগল মারা যায়। আমিসহ স্থানীয়রা চেয়ারম্যান আলী আযম টিটুর কাছে শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতিকার চাই। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ভবনটি অপসারন করেন। তারপর আমরা চেয়ারম্যানকে একটি ঈদগা ও জানাযা পরার জন্য পুকুরটি ভরাট করতে বলি। চেয়ারম্যান আমাদের কথা রক্ষার্থে সে অনুযায়ী বরাদ্দ দেন। কিন্তু এরই মধ্যে চেয়ারম্যান সাহেব ইন্তেকাল করলে এ বিষয়টি আর বেশিদূর আগায়নি। ইটগুলো এখনো মাদ্রাসার জিম্মায় রাখা আছে। আমরা ৭নং ওয়ার্ডবাসী জানি যে মেম্বারকে ফাঁসাতে তার প্রতিদ্বন্দীর ছেলেকে দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগগুলো করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আবুজর রহমান জানান, আমরা ছোট বেলা থেকে এ ভবনে খেলা করেছি। তখন থেকেই ঝুঁকিপূর্ন ছিলো ভবনটি। এ ভবনে শিশুরা খেলা করতো। যখন ঘরটির ছাদ ধ্বসে একটি ছাগল মারা যায়। তখন সবাই মিলে চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি উদ্যোগ নিয়ে আসন্ন দূর্ঘটনা ঠেকাতে ভবনটি অপসারন উদ্যোগ নেন। এজন্য ভবনের ছাদে দড়ি দিয়ে বেধে ১০/১২জন মিলে টান দিতেই ভবনটি পুকুরে নিমজ্জিত হয়। এরপর ভবনের ইটগুলো মাদ্রাসার হেফাজতে রাখা হয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে অভিযোগকারী মাহমুদুল হাসানের পিতা এ ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ছিলেন। তাদের সাথে আমাদের পূর্ব শত্রæতা। আমাদের বিপদে ফেলতে ও হয়রানি করতেই তারা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে।
স্থানীয় আব্দুর রশিদ বলেন, এখানে একটি ঝুঁকিপূর্ন ভবন ছিলো। আমরা আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে টিটু চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম। তারপর চেয়ারম্যান আমাদের নিয়ে ভবনটি অপসারন করেন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে অভিযোগকারীরা ৮নং ওয়ার্ডে বাস করে। ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে মেম্বার পদে দাড়িয়ে ফেল করেন তিনি। কিন্তু ফেল করার পর বর্তমান মেম্বারকে হয়রানি করেতেই এ কাজ করছে তারা।
এসব অভিযোগের জানতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগকারী জি এম মাহমুদুল হাসানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মেম্বারকে ফাঁসাতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট