সাতনদী ডেস্ক: একটা সময় ছিল পান্না কায়সার আমাকে খুব ভালবাসতেন। তাঁর বাড়িতে আমাকে নেমন্তন্ন করতেন। আমাদের সন্ধ্যের আড্ডায় শামসুর রাহমানও আসতেন। পান্না কায়সার আর আমার এই ছবিটি সম্ভবত ১৯৯১ সালের, যখন আমরা সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে যশোহরে গিয়েছিলাম। ১৯৯৪ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর আর পান্না কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। শুধু পান্না কায়সারের সঙ্গে নয়, শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু বান্ধবী লেখক প্রকাশক যাদের সঙ্গেই মধুর সম্পর্ক ছিল, ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল সবার সঙ্গে সব লেনদেন। শক্ত একটি দেয়াল কারা যেন তুলে দিয়েছিল আমার এবং আমার ফেলে আসা জীবনের মাঝখানে। পান্না কায়সার প্রচুর বই লিখেছেন, সংগঠন করেছেন, রাজনীতি করেছেন, সংসদেও বসেছিলেন, স্বজন বেষ্টিত ছিলেন, প্রচুর শুভাকাঙ্খী পেয়েছেন, সুখে শান্তিতে ছিলেন। সমৃদ্ধ একটি জীবন তিনি যাপন করে গেছেন। মৃত্যু এসে তাঁর জীবনের অর্জন উপার্জন কিছুই নষ্ট করতে পারেনি। (লেখাটি তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)