
নিজস্ব প্রতিবেদক: বড়বাজার কাঁচা-পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বাবু’র গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বি.এম আব্দুর রাজ্জাক এ সংবাদ সম্মেলণ করেন। অপরদিকে সত্য ঘটনা আড়াল করে এ সংবাদ সম্মেলণ হয়েছে বলে দাবী করেছেন আব্দুর রহিম বাবু।
শনিবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মশিউর রহমান মশু, সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, রফিকুজ্জামান খোকন প্রমুখ।
এসময় বিএম আব্দুর রাজ্জাক তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ৪ আগষ্ট দুপুর ২ টার সময় শহরের বড়বাজারস্থ আমার বাড়ীর গোডাউনে ভালুকা চাঁদপুরের আনিছুর রহমানের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবুর বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাবু তাকে বেধড়ক পিটাতে থাকে। তিনি ও তার ছেলে সামিউল হাসান সজলসহ তার শ্যালক শেখ তহিদুজ্জামান চপল ও শ্যালকের ছেলে তামজিদুজ্জামান ঠেকাতে গেলে বাবু তাদের উপরও হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে।’
এদিকে হামলার বিষয়টি অস্বিকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বাবু জানান, আমি ভালুকা চাঁদপুরের আনিস নামে এক ব্যক্তির নিকট ১৫ হাজার টাকা পেতাম। ৪ আগষ্ট দুপুরে আনিসের নিকট পাওনা টাকা চাইতেই তহিদুজ্জামান চপল ও তার লোকজন আমার উপর হামলা করে। এসময় চপলের ছেলে তামজিদুজ্জামান আমার ভাতিজা ইসরাফিলকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক আহত করে। সে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় তহিদুজ্জামান চপলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। যার মামলা নং-১৪। পরবর্তীতে তারা আমার বিরুদ্ধে একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, বড়বাজার কাঁচা-পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বাবু দীর্ঘদিন আমি আনিছের কাছে ১০ হাজার টাকা পান। তিনি বলেন ‘টাকাটা দিতে টালবাহানা শুরু করে সে। ৫ আগস্ট, বুধবার দুপুরে বাড়ি যাওয়ার পথে সুলপুরের মধ্যে তাকে দেখে আমি পেছন থেকে ডাক দেই। এ সময় সুলতানপুরের চপলের বাড়ির সামনে আনিছ দাঁড়ায়। আমি পাওনা টাকা চাইলে চপলের বাড়ির মধ্যে থেকে কয়েকজন যুবক বের হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় চপল বাইরে এসে আমার সাথে কথা বলে। কথার একপর্যায়ে কথা কাটাকাটিতে রূপ নেয়। এমন সময় চপলের ছেলে তামজিদ গালিগালাজ করলে ইস্রাফিল তাকে বাধ সাধে। একপর্যায়ে ইস্রাফিল তামজিদ মারতে থাকে। তখন চপল পিছন থেকে আস্ত ইট দিয়ে ইস্রাফিলের মাথায় সজোরে আঘাত করে। ইস্রাফিলের মাথা ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। হঠাৎ চপলের ছেলে তামজিদ ইস্রাফিলের ফুসফুস বরাবর ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার হাত থেকে ছুরি নিয়ে ফারুক ইস্রাফিলের পেটে আরেকটি পোঁচ দেয়। হামলার সময় আরও অংশ নেয় সালাম ও আনিছ সহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫জন। ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিলে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা শংকট জনক হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করে। পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তার অপারেশন শেষে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ইস্রাফিল এখনও স্থিতিশীল হয়নি।’
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বাবু বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ১৪ অপরদিকে শেখ তহিদুজ্জামান চপল বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করেন যার নং-১৫। দুটি মামলাই ৫ আগস্ট দায়ের করা হয়।