ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে অবৈধ নেট-পাটা অপসারনের নির্দেশনার পরও উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের আইবুড়ো নদী, কচুখালী খাল, কুলতলী খাল ও বড়ভেট খালী খালের নেট-পাটা সহ খালের চর অবৈধ দখলদারদের দখলে। এলাকাবাসী জানায়, কিছু ভূমিদস্যু কয়েক বছর যাবৎ আইবুড়া নদীতে নেট-পাটা ও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। তাতে নদীর পানি সরবরাহের ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এতে নদীর দু’পাড়ের রাস্তা ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে যাহার ফলে জনসাধারণের চলাচলের ও অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে রাস্তাগুলো এবং কুলতলী খালের স্লুুইচ গেট থেকে কিছু সামনে যেতেই খালের চর দখল করে বাড়িঘর করছে কিছু ভূমিদস্যু। এছাড়া খালের মধ্যে বাদ দিয়ে পুকুর করে মাছ- কাঁকড়া চাষ করছে যাতে খালের চিহ্ন বোঝার উপায় নেই। কচুখালী খালের চিত্রও একই রকম।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ভূমি কর্মকর্তা আইনুল হক এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নেট পাটা তুলে নেয়ার জন্য এলাকায় মাইকিং করেছি, না তুললে আমি কি করবো ? তিনি আরো বলেন ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমাকে হুমকি দিয়েছে এর জন্য আমি ব্যাপকভাবে চাপে আছি এবং যারা নেট পাটা দিয়ে দখল করে রাখছে তাদের তালিকা আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দিয়ে দিচ্ছি, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু ভূমিদস্যু চক্ররা এলাকায় কিংবা বাজারে এক ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে যে আজ অবদি কেউ নেট-পাটা অপসারণ করতে পারিনি এবং পরবর্তীতে পারবেও না। কয়েক দিনের জন্য বন্ধ হলেও একবারে বন্ধ হবে না প্রশাসন টাকা খাওয়ার জন্য এসব করছে।
তাই এলাকার সুধীমহলের দাবী এইসব ভূমিদস্যুদের দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে সরকারি খালতো আর থাকবেই না বরং দিনে দিনে দখলদারিত্ব আরও বাড়বে।