
আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ:
শহরের মুনজিতপুরে রথখোলা বিলের আল আকছা মসজিদের সামনেই মিলনের বাড়ি। সে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত। মিলনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায়। বিগত কয়েক বছর ধরে মিলন সাতক্ষীরা শহরের ২নং ওয়ার্ডের রথখোলা বিল এলাকায় একটি দুতলা বাড়িতে বসবাস করে।
প্রতিবেশিদের অভিযোগ, মিলন তার বাড়ির ময়লা-অর্বজনা দু’তলার বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে পাশের বাড়ির সীমানায়। কিছু বলতে গেলে অশ্লীণ ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। মিলনের বাড়ির পানির ট্যাংক পরিপূর্ণ হয়ে সেই পানি যাতায়াতের সময় সাধারণ মানুষের গায়ে পড়ে। এলাবাসি একাধিক বার বলা সত্তেও মিলন কারও কথা শোনে না। মুন্সিপাড়ার শফিকুলের স্ত্রী সাহানা বেগম জানান, আমরা গরীব মানুষ। আমাদের কথার কোন দাম নেই মিলনের কাছে। তার বাড়ির ময়লা-আর্বজনা আমাদের পথের উপরে ফেলে। বিভিন্ন সময় পানির ট্যাঙ্কি ভরে মটরের পানি মানুষের গায়ে পড়ে। প্রতিবাদ করলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নাম ব্যবহার করে আমাদেরকে হুমকি দেয়। এমনিতেই অতিবৃষ্টিতে আমাদের বাড়ির আঙিনা ডুবে গেছে, এরপর আবার উপর থেকে মটরের পানি যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।
একই গ্রামের আন্জুআরা বেগম বলেন, যখন থেকে মিলন এখানে এসেছে তখন থেকে এলাকার সাধারণ মানুষকে মানুষ মনে করে না । আল আকছা মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন এর কাছ থেকে জোর পূর্বক আড়াই হাজার টাকা নিয়ে তাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেয় মিলন। তিনি আরও বলেন, মিলন বলে তার নামে কেউ কথা বললে সেই বাড়ির কোন মেয়েকে বিয়ে হতে দেবে না। বাড়িতে একাধিক বার পুলিশের রেড পড়লেও ধরা পড়েনি মিলন। তার এক নিকট আত্মীয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে চাকরী করতেন সেই লোকের ইউনিফর্ম পরে ছবি তুলে সবাইকে বোকা বানায়। চাকুরীর প্রলভোন দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের থেকে টাকা নেয়। মিলনের বাড়িতে বিভিন্ন্ ধরনের অপকর্ম চলে বলে অভিযোগ অনেকের।
মুন্সিপাড়ার জাকির হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে আমার মা এবং স্ত্রী উঠানে বসে থাকাকালীন উপর তাদের গায়ে ময়লা ফেলে মিলনের স্ত্রী। প্রতিবাদ জানালে সে মিলনকে ডেকে নিয়ে আসে। অত:পর মিলন এসে আমার মা এবং স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গি করে। এমন কেন করলো সে বিষেয়ে আমি মিলনের কাছে জানতে চাইলে সে আমার নামে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করে।
মুন্সিপাড়ার আলতাফ হোসেন বলেন, মিলনের কারনে এলাকার মহিলারা আতঙ্কে রয়েছে। মহিলাদের সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ ব্যবহারসহ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে সে। রেহেনা বেগম বলেন, মহিলাদের ব্যবহারিত আর্বজনা রাস্তায় ও বাড়ির ভিতরে ফেলে। আমার ছেলে অনেক বার নিষেধ করেছে কিন্তু সে টাকার গরম দেখিয়ে বলে আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। মিলনের প্রতিবেশি নাঈম বলেন, মিলন খুবই খারাপ স্বভাবের মানুষ। তার বাড়ির চারপাশে যারা বসবাস করে সবার সবার সাথে তার গোলযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে ময়লা ফেলা মিয়ে পাশের বাড়ির চাচীর সাথে অনেক অশ্লীল ভাষায় কথা বলেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান মিলন বলেন, আমার স্ত্রী চাল পরিস্কার করার সময় চালের গুড়া উপর থেকে নিচে গিয়ে পড়ে। তখন পাশের বাড়ির জাকিরের স্ত্রী তার সাখে খারাপ ব্যবহার করে। তখন আমি জাকিরের স্ত্রীকে গালিগালাজ করি। জাকির বাড়িতে এলে বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে মারধর করতে আসে তখন আমি পুলিশ ডাকি। কোন পুলিশ এসেছিল তার নাম ও নাম্বর মিলন বলতে পারেনি। এছাড়াও থানায় অভিযোগের কোন কাগজ মিলন দেখাতে পারিনি।