
নাসির উদ্দীন: মায়ের সাথে প্রতারণা করে ভুল বুঝিয়ে ছয় ভাই-বোনকে ফাঁকি দিয়ে জমি লিখে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার কুল্যার বাহাদুরপুরে। ৮৫ বছর বয়সী অভিরন নেছাকে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে জমি লিখে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বয়সের ভারে নূয্য অভিরন নেসা প্রতিবেদককে বলেন, ‘ আমার স্বামী ২০০২ সালে ইন্তেকাল করেন। তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ওয়ারেশ সুত্রে পাওয়া ও আমার নিজের ক্রয় করাসহ আশাশুনি থানার বাহাদুর মৌজায় আর এস ১৪৯, ১৫০,১৫১ এবং গাবতলা মৌজার ৪৭৯ খতিয়ানে মোট ২.২৫একর জমি আছে। যার মধ্যে আমার ভিটাবাড়ী ও মৎস ঘের আছে। ঘেরের হারির টাকায় আমি আমার নিজের ভরণপোষন ও চিকিৎসা খরচ নির্বাহ করি। নভেম্বরের ১১ তারিখে আমাকে আমার ছেলে আঃ মজিদের স্ত্রী নারগিস তার ভাইপোর খৎনা উপলক্ষ্যে তার বাপের বাড়ি (টিকারখুটি গ্রামে) আমাকে ঘুরতে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন আমি অসুস্থ্য বোধ করলে নারগিস আমাকে ডাক্তার দেখাতে আশাশুনি নিয়ে যায়। এসময় বাড়ী থেকে আমার ছোট ছেলে শহিদুলও সেখানে আসে। আমি মূর্খ মানুষ। লিখতে পড়তে পারিনা। টিপসই না দিলে ডাক্তার আমার চিকিৎসা করবেনা বলে আমার ছেলে শহিদুল ও মজিদের স্ত্রী নারগিস জানায়। এসময় হলুদ রঙের কয়েকটি কাগজে আমার টিপসই নেয় তারা। এরপর বেশ কিছুক্ষন পর ডাক্তার দেখিয়ে আবারও নারগিসের বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়।’
অভিরন নেসা আরও জানান, ‘নভেম্বরের ২২ তারিখে আমাকে আমার বাড়ি নিয়ে আসে নারগিস ও তার পুত্র মুশফিকুর। বাড়ি ফিরে আমার পৌত্র শাহারিয়ার কাকন ও স্থানীয় কয়েকজনকে সব ঘটনা খুলে বললে তারা জানায় আমি হয়তো প্রতারণার শিকার হয়েছি। পরের দিন কাকনকে সাথে নিয়ে রেজিঃ অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখি আমার যাবতীয় জমি জমা, ভিটা-বাড়ী, মৎসঘের আমার ছোট পুত্র শহিদুল ও তৃতীয় পুত্রের ছেলে বা পৌত্র মুশফিকুর রহমানের নামে রেজিষ্ট্রি হয়েছে। অথচ আমি জানি না। এই রেজিঃতে আমাকে শনাক্তকারী আঃ হামিদ ও দলিল লেখক আহছান উল্যাকে আমি চিনিনা বা কোনদিন দেখি নাই। আমার সাথে প্রতারণা করে আমার অন্যান্য সন্তানদের বঞ্চিত করার জন্য ও আমার শারিরীক অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে শহিদুল ও মুশফিকুর আমার জমি লিখে নিয়েছে। আমি হাজী মানুষ। আমি শরিক ফাঁকি দিতে পারবোনা। আমার সকল সন্তানদের আমার জমির ন্যয্য হিস্যা বুঝিয়ে দেওয়া আমার একান্ত দায়িত্ব। ’