হাজারো মানুষের ভিড়ে মা-বাবার মায়া মমতা আর নির্ভরতার পরশ খুঁজে ফিরছে কলারোয়ার নিষ্পাপ শিশু সারে ৪ মাসের মারিয়া। সবাই জানলেও সে জানেনা বা বোঝেনা তার এই জীবনে আর কখনো পাবেনা মা-বাবার আদরমাখা স্নেহের পরশ। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মা-বাবা ও ভাই-বোন হারা ৪ মাস বয়সী অবুঝ শিশু মারিয়া সুলতানার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সাতক্ষীরা মানবিক জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। তিনি শিশু মারিয়া সুলতানাকে হেলাতলা ইউপির ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য নাসিমা খাতুনের জিম্মায় রেখেছেন । তার চিকিৎসা এবং জীবন গড়ার যাবতীয় দায়িত্ব জেলা প্রশাসক গ্রহণ করেছেন বলে বৃহস্পতিবার তিনি ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, নৃশংস হত্যাকান্ডর শিকার পরিবারের জীবিত একমাত্র চার মাসের কন্যাশিশুর দায়িত্ব নিয়ে আপাতত দেখাশোনার জন্য স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের কাছে রাখা হয়েছে। তাকে সাময়িকভাবে দেখভাল করতে অনুরোধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিভাবকরা দাবি করলে আইনানুগভাবে সমাধান করা হবে। এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরীন কান্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আক্তার হোসেন শিশু মারিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিশু খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নয়ে হাজির হন ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের বাড়িতে। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে ইউএনও মৌসুমী জেরীন কান্তা মাতৃস্নেহের পরম আবেশে বুকে তুলে নেন সবহারা শিশু মারিয়াকে। এদিকে, তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য অ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ কলারোয়ার এমন বর্বর হত্যাকাÐের খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন নিহতদের বাড়িতে। তিনি এ সময় শিশুটির খোঁজ খবর নেন ।
দুঃসময়ে শিশু মারিয়ার বুকে টেনে নেওয়ায় মানোনীয় জেলা প্রশাসককে অভিনন্দন জানাই। আমরা তাঁর প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা।
‘ভালবাসে তো সেইজন...
যার হৃদয় আছে মমতা-
অপরের দুঃখে কাঁদে মন।।’
ইতামধ্যে এই হত্যা কাÐে জড়িত সন্দেহে মারিয়ার চাচা রায়হানুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদি রায়হানুল ইসলাম সত্যিই জড়িতো থাকে তাহলে হত্যাকাÐের একমাত্র বিচার প্রার্থী কন্যা মারিয়াকে তারা ভালো চোখে দেখবে সেটা আশা করা যায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো পরিবারের খুনিরা তার জীবন নাশের চেষ্টা করবে। তাই অবশ্যই শিশু মারিয়ার জীবন ঝুকিপুর্ণ। আমরা আশাকরবো শিশু মারিয়ার সার্বিক দায়িত্বের পাশাপাশি তার জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখবেন।